আওয়ার ইসলাম: তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ’র প্রথম নারী সভাপতি হয়েছেন মোহাম্মদী গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রুবানা হক।
শনিবার (৬ এপ্রিল) অনুষ্ঠিত বিজিএমইএ’র নির্বাচনে রুবানা হকের নেতৃত্বে সম্মিলিত ফোরাম প্যানেল জয়ী হয়েছেন। সম্মিলিত পরিষদের ও ফোরামের ২৬ জন প্রার্থীর মধ্যে ২৬ জনই বিজয়ী হয়েছেন।
এর আগে বিজিএমইএ’র নির্বাচন সামনে রেখে সম্মিলিত পরিষদ এবং ফোরাম সমঝোতার মাধ্যমে যে প্যানেল জমা দেয় তাতে দলনেতা করা হয় ঢাকা উত্তরের প্রয়াত মেয়র বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনিসুল হকের স্ত্রী রুবানা হককে। ফলে, বিজিএমইএ’তে আগামী দুই বছর নেতৃত্ব দেবেন রুবানা হক।
ফোরাম থেকে ১৯ এবং সম্মিলিত পরিষদ থেকে ১৬ জন দিয়ে সম্মিলিত পরিষদ-ফোরামের সমঝোতার প্যানেল করা হয়।
শনিবার সকাল ৮টায় ঢাকার কাওরান বাজারে বিজিএমইএ ভবনের নুরুল কাদের মিলনায়তনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকাল ৪টা পর্যন্ত কোনও রকম বিরতি ছাড়াই ভোটগ্রহণ চলে। সংগঠনটির মোট ভোটার এক হাজার ৯৫৬ জন। এর মধ্যে ঢাকায় এক হাজার ৫৯৭।
নির্বাচন পরিচালনা কমিটি সূত্রে জানা গেছে, আজকের নির্বাচনে ঢাকায় ভোট দিয়েছেন এক হাজার ২০৪ জন এবং চট্টগ্রামে দিয়েছেন ২৮৮ জন।
নির্বাচনে সম্মিলিত ফোরাম ও স্বাধীনতা পরিষদ নামে দুটি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সংগঠনটিতে পরিচালকদের মোট পদ ৩৫টি। এর মধ্যে ঢাকায় ২৬টি ও ৯টি চট্টগ্রামে। চট্টগ্রাম অঞ্চলের পরিচালক নির্বাচনে ভোট হচ্ছে না। তারা সবাই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ঢাকার ২৬ পরিচালক পদে দুই প্যানেলের ৪৪ প্রার্থী লড়ছেন। ২৬ পদে পূর্ণ প্যানেল দিয়েছে সম্মিলিত ফোরাম। এসব পদে স্বাধীনতা পরিষদের প্রার্থী ছিল ১৮ জন।
বিজিএমইএ নতুন কমিটির প্রধান হিসাবে রুবানা হক নতুন এ দায়িত্ব প্রসঙ্গে বলেন, আমার চ্যালেঞ্জটা হবে, কী করে শ্রমিক ও মালিক একসঙ্গে কাজ করবো। অনাস্থার জায়গাগুলো আমরা করে দূর করবো।
তিনি বলেন, দেশের পোশাক খাত নিয়ে আন্তর্জাতিক বাজারে যে ইমেজ সংকট রয়েছে তা কাটিয়ে উঠতে হবে। আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করবো সেটি কাটিয়ে উঠতে। অনেকেই মনে করে, আমরা সবচেয়ে সস্তা। এই সস্তা কোনও ভাবেই ভালো না বলে আমি ও আমার পরিষদ মনে করে। আমরা বলতে চাই, প্রতিযোগিতা হলো সবচেয়ে ভালো। যদিও আমরা সম্মিলিতভাবে দরকষাকষির জায়গায় পৌঁছতে পারিনি। সবাই এ বিষয়ে একমত হতে পারিনি। এখনই সময় এসেছে বিজিএমইএ’র পক্ষ থেকে একটা উদ্যোগ নেওয়ার।
তিনি বলেন, দায়বদ্ধতার কথা যদি বলেন, আমার পুরো পরিষদ আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করবে। আমার প্রয়াত স্বামী আনিসুল হক দুই বছরে দেখিয়ে গেছেন সবাইকে, কীভাবে পরিবর্তন আনতে হয়। তার মানে বদলানো সম্ভব। আমরাও সেটা পারবো। এজন্য আমাদের দায়বদ্ধতার কোনও প্রকার দ্রুটি দেখবেন না। তারপরও কোনও ত্রুটি-বিচ্চুতি থাকলে সেটা ধরিয়ে দেওয়ার আহ্বান থাকলো।
-এএ