আওয়ার ইসলাম: রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টার হামলায় অন্তত ১০ রোহিঙ্গা মুসলমান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন একডজনের বেশি।
প্রথমে এ বিষয়ে নিয়ে মুখ না খুললেও পরে মুখ খুলেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। তারা বলছে সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে জড়িত ছিল নিহত রোহিঙ্গা মুসলিমরা।
বুধবার রাখাইনের একটি গ্রামের কাছে বুথিডাং শহরের একটি উপত্যকায় রোহিঙ্গাদের একটি দলের ওপর ওই হামলা চালায় সেনাবাহিনী। শুক্রবার তারা ঘটনাটি সম্পর্কে এ তথ্য জানায়।
সেনাবাহিনী পরিচালিত ‘মায়াওয়াদি’ পত্রিকা বলেছে, বুথিডাংয়ে বুধবার সেনাবাহিনী আরাকান আর্মির সন্ত্রাসী তৎপরতা দমনাভিযানে নিয়োজিত থাকার সময় ওই গ্রামবাসীরা সন্ত্রাসীদের সঙ্গে ছিল।
সম্প্রতি মিয়ানমারের সেনাবাহিনী আরাকান আর্মি নামে আরেকটি সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সঙ্গে লড়াই করছে। এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যরা স্থানীয় বৌদ্ধ জাতিগোষ্ঠীর।
আরাকান আর্মির মুখপাত্র খিন থু খা গত বুধবারের সামরিক হামলায় নিহত ও আহতরা তাদের দলের সদস্য নয় বলে জানিয়েছেন।
সেনাবাহিনী ইচ্ছাকৃতভাবেই হামলা করছে জানিয়ে তিনি বলেন, তারা সব জায়গায় বোমা ফেলছে। জঙ্গলে আরাকান আর্মির সদস্যরা আছে ভেবে তারা বোমা ফেলছে।
তবে তিন গ্রামবাসী এবং এক আঞ্চলিক আইনপ্রণেতা বৃহস্পতিবার রয়টার্সকে বলেছিলেন, ওই রোহিঙ্গারা সাই দীন উপত্যকায় বাঁশ সংগ্রহ করার সময় সামরিক হেলিকপ্টার থেকে তাদের ওপর হামলা হয়। হামলার শিকার সবাই বাঁশ শ্রমিক।
মিয়ানমারের কয়েকটি পুলিশ ফাঁড়িতে রোহিঙ্গা বিদ্রোহীদের হামলারঘটনাকে কেন্দ্র করে শুরু হওয়া সেনাঅভিযানের মুখে পালিয়ে এসে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৭ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা।
জাতিসংঘ গণহত্যার উদ্দেশ্য নিয়ে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী সংখ্যালঘু এই মুসলিম রোহিঙ্গাদের দমন করতে চেয়েছে বলে অভিযোগ করেছে।
-এএ