আওয়ার ইসলাম: বনানীর ইকবাল সেন্টারের ১৮ তলা নির্মাণের অনুমতি আছে। কিন্তু তা তৈরি করা হয়েছে ২৩ তলা। আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য এইচ বিএম ইকবালের ভবনে এ অনিয়ম হয়েছে। অভিজাত এ ইকবাল সেন্টারে নেই জরুরি সিঁড়ি। অভিযানে গিয়ে নকশা বহির্ভূত অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছে রাজউক।
পরিচালক মামুন মিয়ার নেতৃত্বে রাজউক জোন-৪ এর একটি দল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টা দিকে এ অভিযান চালানো হয়।
বনানীর ইকবাল সেন্টারের ২৩ তলার কাজও প্রায় শেষ। কিন্তু নকশায় পাওয়া গেল অনুমতি আছে ১৮তলা পর্যন্ত। কেন এই অনিয়ম, সুস্পষ্ট জবাব নেই ভবন কর্তৃপক্ষের।
ফুটপাত ঘেঁষে ভবন নির্মাণসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এর বাইরেও আর কোন অনিয়ম রয়েছে কি না তা মূল নকশার সাথে মিলিয়ে দেখবে রাজউক। তবে এখনই বর্ধিত অংশ ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
অন্য দিকে আউয়াল সেন্টারের মালিক স্বীকার করছে, ২১ তলার অনুমতি নিয়ে ২২ তলা করা হয়েছে। এজন্য রাজউককে ম্যানেজ করেছে বলেও ফোনে জানায় মালিক।
পাশের ১৫ তলা ডেল্টা ডালিয়া ভবনে নেই অগ্নিনির্বাপন ব্যবস্থা। জরুরি বহির্গমন সিঁড়িও নেই। এরই মধ্যে তাদেরকে নোটিশ দিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
অভিজাত এলাকার প্রায় সব ভবনে এমন অসঙ্গতি দেখে হতবাক রাজউক। কর্তৃপক্ষ বলছে, ছাড় পাবে না একটিও।
প্রসঙ্গত, বনানীর অগ্নিকাণ্ডের পর গঠন করা তদন্ত কমিটি এফ আর টাওয়ারের মূল নকশা এবং রাজউকের নকশার মধ্যে অসঙ্গতি পেয়েছে। এর পর বনানীর বিভিন্ন বহুতল ভবনের ত্রুটি চিহ্নিত করতে রাজউক তৃতীয় দিনের মতো অভিযান চালিয়েছে।