আওয়ার ইসলাম: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশ ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) পৃথক বন্দুকযুদ্ধে রোহিঙ্গা নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
রোববার (৩১ মার্চ) ভোরে টেকনাফের মৌলভীবাজার এলাকায় পুলিশের সঙ্গে এবং একই উপজেলার দমদমিয়া নাফ নদীর ওমরখাল এলাকায় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনাস্থল থেকে ছয়টি এলজি বন্দুক, ২০ হাজার পিস ইয়াবা ও ১৮টি তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। পুলিশের দাবি, নিহতরা ইয়াবা কারবারি ছিল।
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গতকাল রাতে ইয়াবা বিক্রির খবর পেয়ে টেকনাফ উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকায় অভিযানে যায় পুলিশ।
এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ইয়াবা কাবারিরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। বেশ কিছুক্ষণ গোলাগুলির পর ইয়াবা কারবারিরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থলে গুলিবিদ্ধ দুজনকে উদ্ধার করা হয়।
তাদের টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়, সেখানে তাদের অবস্থা খারাপ হলে হলে চিকিৎসক কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ দুটি কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রয়েছে।
অপরদিকে টেকনাফের বিজিবির-২ ব্যাটালিয়ন ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানান, ভোরে টেকনাফের দমদমিয়া ওমরখাল নাফনদী এলাকায় টহলে বের হন বিজিবি সদস্যরা।
এ সময় কিছু লোক মিয়ানমার থেকে ওমরখাল পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের চেষ্টা করে। তাদের থামার সংকেত দেয় বিজিবি। কিন্তু বিজিবির সংকেত অমান্য করে উল্টো বিজিবি টহলদলের ওপর অতর্কিতে গুলি বর্ষণ ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ করে। এ সময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। উভয় পক্ষের মধ্যে প্রায় ১০-১৫ মিনিট গোলাগুলি হয়।
অস্ত্রধারী চোরাকারবারিরা গুলি করতে করতে খালের কিনারা দিয়ে পালিয়ে যায়। গুলির শব্দ থামার পর, টহলদলের সদস্যরা এলাকা তল্লাশি করে একজন নারীকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় নৌকার মধ্যে পড়ে থাকতে দেখেন।
পরে স্থানীয়রা তাকে রোহিঙ্গা নারী বলে সনাক্ত করেন। এ সময় ১০ হাজার পিস ইয়াবা ও তিনটি লোহার ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়। মৃতদেহটি টেকনাফ থানার মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
আরএম/