আওয়ার ইসলাম: রাঙ্গামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় ভোটগ্রহণ শেষে ফেরার পথে সেভেন মার্ডারের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এবার বিলাইছড়িতে গুলি করে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি সুরেশ কান্তি তঞ্চঙ্গ্যাকে হত্যা করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার আলীক্ষ্যাং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসিফ ইকবাল সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে তিনি ঘটনার বিস্তারিত জানাতে পারেননি।
বর্তমানে সুরেশ কান্তি লাশ উপজেলা সদরে আছে। ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।
এদিকে, এ হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী মুছা মাতব্বর।
জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নীলোৎপল খীসা ঘটনার সঙ্গে জড়িতের অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা এ ধরনের অপরাজনীতি করি না। আওয়ামী লীগ উদ্দেশ্যমূলকভাবে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে।’
এর আগে গতকাল সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাজেক ইউনিয়নের কংলাক, মাচালং ও বাঘাইহাট কেন্দ্র থেকে নির্বাচন শেষে ফেরার পথে বাঘাইছড়ি উপজেলার নয়কিলো এলাকায় দুর্বৃত্তরা ব্রাশফায়ার করলে ৭ জন নিহত ও ১৬ জন আহত হন।
নিহতরা হলেন— পোলিং এজেন্ট শিক্ষক মো. আমির হোসেন (৪০), দাখিল মাদ্রাসার শিক্ষক আবু তৈয়ব, নির্বাচনী দায়িত্বে থাকা আনসার ভিডিপির মো. আল আমিন (১৭), বিলকিস (৪০), মিহির কান্তি দত্ত (৪০), জাহানারা বেগম (৩১) ও পথচারী মিন্টু চাকমা (২৭)।
আহতদের মধ্যে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ১৪ জনকে হেলিকপ্টারে করে চট্টগ্রাম সিএমএইচ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আরএম/