আওয়ার ইসলাম: রাজবাড়ীর সদর উপজেলা গোয়ালন্দতে লোকমান সরদার ওরফে লোকমান সাধুর (৪৫) বশীকরণে কাজ না হওয়ায় তাকে গলাকেটে হত্যার চেষ্টা করে পলাশ (১৬)।
গত শনিবার ভোররাত ৩টার দিকে দৌলতদিয়া লঞ্চঘাট সংলগ্ন নতুন পাড়া এলাকায় এ কাণ্ড ঘটে।
পলাশ ওই গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। পলাশ স্থানীয় মাদরাসা সাবি-ইল-হাসান থেকে এ বছর দাখিল পরীক্ষা দিয়েছে।
গ্রামবাসীর সূত্রে জানা যায়, পলাশ ওই এলাকার একটি মেয়েকে খুব পছন্দ করে। সে বেশ কিছুদিন ধরে মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু ব্যর্থ হয়ে শরনাপন্ন হয় এলাকার লোকমান সাধুর কাছে।
টাকা বিনিময়ে সাধুর কাছ থেকে তার প্রেমিকাকে বশ করার তাবিজ নেয়। কিন্তু তাতে কাজ না হওয়ায় শুক্রবার বিকালের দিকে তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়।
শনিবার ভোর ৩টার দিকে লোকমান সাধু উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা করে পলাশ। এতে তার গলার একংশ কেটে যায়। এ সময় তার চিৎকারে আশপাশের নৌকা থেকে জেলেরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ হাসপাতালে নিয়ে আসে।
এ ঘটনার পর থেকে পলাশ পলাতক রয়েছে। তার পরিবারের কাউকেও পাওয়া না যাওয়ায় তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসি এজাজ শফি বলেন, এ বিষয়ে আমার কিছু জানা নেই। থানায় কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উল্লেখ্য লোকমান সাধু পেশায় একজন জেলে। পাশাপাশি তিনি এলাকায় ফকির হিসেবে লোকজনকে বিভিন্ন অসুখে ঝাঁড়-ফুঁক, পানি পড়া ও তাবিজ-কবজ দিয়ে থাকেন।