আওয়ার ইসলাম: কওমি মাদরাসা নিয়ে কটূক্তি এবং অমুসলিম কাদিয়ানীদের পক্ষ পতিত্ব করে ৩ মার্চ মহান জাতীয় সংসদে ওয়াকার্স পার্টির সভাপতি কমরেড রাশেদ খান মেননের বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও বিচারের দাবিতে জুমার নামাজ শেষে গওহরডাঙ্গা মাদরাসার উদ্যোগে গোপালগঞ্জেল টুঙ্গীপাড়ায় বিক্ষভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
এতে টুঙ্গীপাড়া সাধারণ জনগণ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ গওহরডাঙ্গা মাদরাসা ও খাদেমুল ইসলাম বাংলাদেশের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
বিক্ষভ মিছিলে বক্তারা বলেন, কওমি মাদরাসা আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর, রাষ্ট্রীয় কোন সহযোগিতা ছড়া সাধারণ জনগনের সহযোগিতায় আদর্শবান নাগরিক গঠন করে যাচ্ছেন। কওমি মাদরাসা সনদের সরকারি স্বীকৃতির আইন মন্ত্রী পরিষদ এবং মহান জাতীয় সংসদে পাশ করা বর্তমান সরকারের প্রশংসনীয় কাজ।
গত তিন মার্চ দেশের স্বাধীনতা এবং সর্বভৈমত্ব রক্ষার এই প্রতিষ্ঠান কে দেশের জন্য বিষবৃক্ষ বলে চরম ধৃষ্টতা দেখিয়েছেন। যা দেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমান ক্ষুব্ধ হয়েছে। এজন্য তাকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং তাকে মহান জাতীয় সংসদ থেকে বহিষ্কারের জোর দাবী জানান।
বক্তাগণ বলেন, বাংলাদেশের মানুষ ধর্মপ্রাণ, তাদের জীবনের থেকেও শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ সা. আজমত বেশি মূল্যবান তাকে শেষ নবী অস্বীকার কারী কাফের কাদিয়ানীদের পক্ষে বক্তব্য দিয়ে মহান জাতীয় সংসদের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছে এবং দেশে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করে রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়।
সভায় বক্তাগন রাশেদ খান মেননের বিচারে জোর দাবী জনান। অন্যথায় যে কোন পরিস্থিতির দায় দায়িত্ব সরকার কে বহন করতে হবে।
সভায় বক্তাগণ হযরত মুহাম্মদ সা. কে শেষ নবী হিসেবে অস্বীকারকারী কাদিয়ানী সম্প্রদাকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার জোর দাবি জানান।
মুফতি উসামা আমীনের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মাওলানা ফরিদ আহমাদ, মাওলানা বশির আহমাদ, মুফতি মস্তফা কাসেম, মুফতি আব্দুল হাই, মাওলানা যোবায়ের আহমাদ, মুফতি শরিফুল ইসলাম, মাওলানা আতাউর রহমান, মাওলানা ইমরান হোসাইন, মুফতি জাফরুল হাসানসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।
আরআর