আওয়ার ইসলাম: রাশিয়া বলেছে, সৌদি রাজা সালমানের স্থলাভিষিক্ত হওয়ার ‘পূর্ণ অধিকার’ যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের রয়েছে। একই সঙ্গে যুবরাজের এই অধিকার ব্যবহার প্রশ্নে মার্কিন হস্তক্ষেপের ব্যাপারেও সতর্ক করে দিয়েছে মস্কো। খবর পার্সটুডের
রাশিয়ার উপ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি মিখাইল বোগদানোভ মস্কোয় এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, ৮২ বছর বয়সি রাজা সালমান বিন আব্দুলআজিজের মৃত্যুর পর যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমান ক্ষমতায় বসবেন কিনা সেটা একান্ত সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয়। রাশিয়া এ ব্যাপারে বাইরের হস্তক্ষেপের ঘোর বিরোধী।
বোগদানোভ বলেন, কেবলমাত্র সৌদি আরবের সরকার ও জনগণ এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার অধিকার রাখে।
সৌদি আরবের প্রয়াত রাজা আব্দুল্লাহর পুত্র মোহাম্মাদ বিন নায়েফকে গত বছর প্রথা ভেঙে সরিয়ে দিয়ে নিজের সন্তান মোহাম্মাদকে যুবরাজের পদে অধিষ্টিত করেন বর্তমান রাজা সালমান। এরপর নিজের বিরুদ্ধে রাজ পরিবার থেকে সম্ভাব্য বিদ্রোহ দমনে প্রিন্সদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেন মোহাম্মাদ বিন সালমান।
কিন্তু এসব বিষয়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে তেমন কোনো উচ্চবাচ্য করা হয়নি। কিন্তু গত অক্টোবরে তুরস্কের ইস্তাম্বুলে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতরে প্রখ্যাত সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যা করার কথা স্বীকার করে রিয়াদ। এরপর আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মোহাম্মাদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের কাঝে ১১ হাজার কোটি ডলারের সমরাস্ত্র বিক্রির স্বার্থে সৌদি যুবরাজের পক্ষ অবলম্বন করলেও মার্কিন সিনেটররা বিষয়টিতে ওয়াশিংটনের নীরবতার তীব্র সমালোচনা করেন। মার্কিন সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম সৌদি যুবরাজকে ‘উন্মাদ’ ও ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে অভিহিত করে তাকে যুবরাজের পদ থেকে সরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
এ সম্পর্কে রুশ মন্ত্রী বোগদানোভ বলেন, এ ধরনের আহ্বান জানানোর কোনো অধিকার মার্কিন কর্মকর্তাদের নেই। তিনি বলেন, “সৌদি রাজা একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং আমি কল্পনাও করতে পারি না কিসের ভিত্তিতে কোনো কোনো মার্কিন কর্মকর্তা সৌদি আরবের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চান। ভবিষ্যতে কে সৌদি আরব শাসন করবে সেটি একান্তই দেশটির নিজস্ব ব্যাপার।”
আরআর