আওয়ার ইসলাম: আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর থেকে মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী।
ভোটের দিন সশস্ত্র বাহিনীর কর্মপরিধি কী হবে, তা নিয়ে পরিপত্র জারি করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। গত বুধবার এই পরিপত্র জারি করা হয় বলে জানা যায়।
পরিপত্রে আরো বলা হয়, আসন্ন নির্বাচনে ‘ইনস্ট্রাকশন রিগার্ডিং ইন এইড টু দ্য সিভিল পাওয়ার’ অনুযায়ী দায়িত্বপালন করবেন স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা।
সেনাবাহিনী মূলত জেলা, উপজেলা ও মহানগর এলাকার সংযোগস্থলে (নডাল পয়েন্ট) অবস্থান করবেন এছাড়া রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে সমন্বয় করে প্রয়োজনীয় টহল ও অন্যান্য আভিযানিক দায়িত্বপালন করবেন।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য রিটার্নিং কর্মকর্তা সহায়তা চাইলে অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে সহযোগিতা করবে স্বশস্ত্র বাহিনী। প্রয়োজনে থানা বা উপজেলা পর্যায়ে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের নিয়োগ করা হবে।
প্রিসাইডিং কর্মকর্তার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোট গণনাকক্ষের শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করবেন। সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রয়োজনে ইসির কাজে সব ধরনের সহায়তা দেবেন তারা।
কর্মপরিধিতে আরও বলা হয়েছে, অবৈধ সমাবেশ ছত্রভঙ্গ করতে সেনা সদস্যদের ডাকা হলে তারা ফৌজদারি কার্যবিধির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী দায়িত্বপালন করবেন। এক্ষেত্রে প্রয়োজন হলে ম্যাজিস্ট্রেট সামরিক শক্তি প্রয়োগ ও গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন।
ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব না হলে কমিশন্ড অফিসার সামরিক শক্তি প্রয়োগ এবং গ্রেফতারের নির্দেশ দিতে পারবেন।
ম্যাজিস্ট্রেটের লিখিত নির্দেশেই সামরিক শক্তি প্রয়োগের বাধ্যবাধকতা নেই। তবে মৌখিক নির্দেশ দিলে পরে দ্রুত সময়ের মধ্যে সেটি লিখিত আকারে দেবেন। এছাড়া উপকূলবর্তী এলাকায় নৌবাহিনী প্রয়োজন অনুযায়ী দায়িত্বপালন করবে বলেও জানায় ইসি।
-এটি