হামিম আরিফ: ক্ষমতায় গেলে বাংলাদেশকে ১৫ বছরের মধ্যে উন্নত ও কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে।
আজ (২১ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইডি লাউঞ্চে দলটির নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম।
বাংলাদেশে সকল প্রকার দুর্নীতি দ্রুত দূর করার প্রতিশ্রুতিসহ মানুষের জীবন মানের উন্নতি ও ব্যয়ের মাত্রা কমিয়ে আনার ঘোষণা দেয়া হয় ইশতেহারে।
মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেন, বাংলাদেশ এগিয়ে যাওয়ার পথে প্রধান অন্তরায় দুর্নীতি। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে এ দুর্নীতি। যে কারণে দেশের উন্নয়ন নেই, মানুষের জান মালের নিরাপত্তা নেই।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৪৭ বছর পার হলেও বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি দূর হয়নি। বাংলাদেশে বারবার দুর্নীতিতে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। যা আমাদের জন্য এ জাতির জন্য লজ্জার।
ইশতেহারে দুর্নীতি রোধ, ভ্যাট কমিয়ে আনা, রিকশা ভ্যানের লাইসেন্স করতে ফি মওকুফ করা, অন্যান্য গাড়ির লাইসেন্স করতে ফি কমানো, সকল প্রকার শ্রমিকদের বেতন ভাতা বাড়ানো, সরকারি কর্মচারিদের ২৫% বেতন বৃদ্ধি, অর্ধেক মূল্যে চিকিৎসা ও কৃষককে সারের ব্যবস্থা করা, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছানো এবং লোডশেডিং দূর করার প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়।
একই সঙ্গে মানুষের কল্যাণ প্রতিষ্ঠায় ধর্ম ও রাজনীতির মধ্যে সমন্বয় সাধন ও দুর্নীতিবাজদের বয়কট করার প্রতিশ্রুতি এবং এর পাশাপাশি কেবল আইনের শাসন নয়, ন্যায় নীতির শাসন ব্যবস্থার কথা বলা হয় ইশতেহারে।
সর্বোপরি একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায়, হিংসা ভেদাভেদ ও ধনী গরিবের বৈষম্য কমিয়ে আনা এবং রাজনীতিকে বিশুদ্ধ করতে এর গুণগত মান বৃদ্ধি করা হবে বলে জানান পীর সাহেব চরমোনাই।
একই সঙ্গে নারীদের সম অধিকার নয় বরং তাদের অগ্রাধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জাতীয় করণ করার প্রতিশ্রুতিও রয়েছে ইশতেহারে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ইসলামী আন্দোলনের যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, প্রচার সম্পাদক মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ুম, শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি অধ্যাপক আশরাফ আলী আকন, ইসলামী আন্দোলন ঢাকা মহানগর উত্তরের সভাপতি ইমতিয়াজ আলম, দক্ষিণের সভাপতি শেখ ফজলে বারী মাসউদ প্রমুখ।
আরআর