আওয়ার ইসলাম: ব্রিটেনের কনজারভেটিভ দলের নেতৃত্বের প্রশ্নে আস্থা ভোটে টিকে গেলেন থেরেসা মে। বুধবার রাতে ভোটাভুটিতে তার পক্ষে পড়েছে ২০০ ভোট আর বিপক্ষে ১১৭।
আস্থা ভোটে থেরেসা মে জিতেছেন ৮৩ ভোটে, যার অর্থ ৬৩ শতাংশ কনজারভেটিভ এমপি ছিলেন তার পক্ষে আর বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ৩৭ শতাংশ।
তিনি হেরে গেলে দলের প্রধানের পদ থেকে তাকে সরে দাঁড়াতে হতো, সেইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকেও তাকে সরে যেতে হতো।
জয়ের পর থেরেসা মে বলেন, এটি উত্তেজনাপূর্ণ সময় ছিল। তবে দিন শেষে আমি আমার সহকর্মীদের ধন্যবাদ দেবো ব্যালটের মাধ্যমে আমাকে সমর্থন জানানোর জন্যে।
বক্তব্যের এক পর্যায়ে নিজ দলের এই সমর্থন তাকে ব্রেক্সিট নীতি বাস্তবায়নে সহায়তা করবে বলে জানান থেরেসা মে।
এ ভোটের ফলে থেরেসা মে অন্তত এক বছেরের জন আরও ক্ষমতায় থাকতে পারছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বেরিয়ে যাওয়া নিয়ে গণভোটের পর ২০১৬ সালে কনজারভেটিভ পার্টির প্রধান হয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে আসেন থেরেসা।
তবে আগাম নির্বাচনে বড় পরাজয়ের পর গত বছরও তার নেতৃত্ব নিয়ে শঙ্কা তৈরি হয়।
ব্রেক্সিট বাস্তবায়নের জন্য দুই বছরের চেষ্টায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে যে চুক্তির খসড়া থেরেসা মে গত মাসে তৈরি করেছেন, তাতে ব্রেক্সিট পিছিয়ে দেওয়া কিংবা ব্রেক্সিট প্রশ্নে আরেকটি গণভোট আয়োজনের সুযোগ তৈরি হতে পারে। কিন্তু মের ওই খসড়া তার দলের ভেতরেই প্রবল বিরোধিতার মুখে পড়েছে।
ওই চুক্তির খসড়া নিয়ে সোমবার পার্লামেন্টে ভোটাভুটি হওয়ার কথা থাকলেও পরাজয় নিশ্চিত জেনে মে তা বাতিল করে দেন। কিন্তু তাতেই তার দলে বিদ্রোহ প্রকাশ্যে চলে আসে।
কনজারভেটিভ পার্টির এমপিদের মধ্যে ইইউবিরোধীরা মের নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে আস্থা ভোট ডেকে বসেন।
সিপাহি বিদ্রোহের ১৬০ বছর পর শহিদ আলম বেগের খুলি ফিরিয়ে দিতে চায় বৃটেন!
আরআর