হাসান আল মাহমুদ:
এতাআতিরা তওবা করে ফিরে আসলে ওয়েলকাম। ফিরে না এসে দ্বীনের নামে আলাদা কোনো কর্মসূচী পালন করতে চাইলে তা হতে দেয়া যাবে না। আজ শুক্রবার জুমার পর ঢাকার রামপুরা বিটিভি সেন্টার রোডে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এমন আহবান জানান বক্তাগণ।
মানববন্ধনে রামপুরার বিভিন্ন মসজিদের ইমাম-খতিব,তাবলিগী সাথী ও সর্বস্তরের তৌহিদি জনতা উপস্থিত ছিলেন।
মানববন্ধনে দারুল উলুম জামিয়া আহলিয়া বনশ্রী ঢাকার শাইখুল হাদিস ও প্রিন্সিপাল মুফতী ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, টঙ্গী ইজতেমা মাঠে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা এ হামলার স্বীকারোক্তি দিয়েছে বিভিন্ন মিডিয়ায়। তাদের একজন মুকিম সাথী মাওলানা আশরাফ আলী ইন্ডেপেন্ডেট চ্যানেলে স্পষ্ট বলেছেন, আমরা দীর্ঘ একবছর সহ্য করেছি। আমাদের ধৈর্যের বাঁধ ভেঙ্গে গেছে। ইজতেমার গেট ভেঙ্গে আমরাই ঢুকেছি।
তিনি বলেন, এ হামলা যে পূর্বকল্পিত তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
তিনি এ বর্বরতম হামলার তীব্র জানিয়ে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানান, এদেরকে বেছে বেছে যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়। এবং নেপথ্যের নায়ক যারা তাদেরকেও খুঁজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, আমরা পরিস্কার ঘোষণা করতে চাই, দ্বীনের কাজ ওলামায়ে কেরামের নেতৃত্বেই চলবে। এখানে সা’দ সাহেবের নাম দিয়ে আলাদা গ্রুপ করে কেউ কোনো মসজিদে কাজ করবে, তা দেয়া যাবে না।
তিনি বলেন, প্রত্যেক মসজিদের ইমাম-খতিব যারা আছেন, তাদের সাথে এবং হক্কানী ওলামায়ে কেরামের সাথে পরামর্শ করেই কাজ করবেন। কিন্তু তারা আলাদা কোনো কর্মসূচি দ্বীনের নামে চালাবেন তা হতে পারে না। যদি তারা এমন মিলে মিশে কাজ করেন তবে তাদেরকে ওয়লেকাম।
মানববন্ধনে আরো বক্তব্য রাখেন হাইয়াতুল উলইয়ার কেন্দ্রীয় সদস্য মুফতি মোহাম্মদ আলী।
উল্লেখযোগ্য আলেমদের মধ্যে উপস্থিত থাকেন মাওলানা নাজমুল হাসান, মাওলানা শোয়াইব ইবরাহিম, বাইতুস সুজুদ মধ্যাবাড্ডার খতিব মুফতি শাইখুল ইসলাম শায়েস্তাগঞ্জী, মাওলানা হারুনুর রশিদ, মাওলনা কাবির হোসাইন, মাওলানা জামিল আহমদ, মাওলানা নুরুল আলম ইসহাকি প্রমুখ।
এইচএএম