আওয়ার ইসলাম: অস্ট্রেলিয়া সফরকালে উইঘুর হিউম্যান রাইটস প্রজেক্টের (ইউএইচআরপি) নেতারা অভিযোগ করেছন, চীন উইঘুর সম্প্রদায়ের ওপর ‘গণহত্যা চালাতে পারে’।
সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলমান সম্প্রদায়ের সঙ্গে চীনা কর্তৃপক্ষ যে ধরনের আচরণ করছে তাতে ‘গণহত্যার পূর্বাভাস’ পাওয়া যাচ্ছে বলে মনে করছে তারা।
ইউএইচআরপি বোর্ডের সভাপতি নারি টার্কেল বলেছেন, দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার সময়, আমাদের চোখের সামনে ভয়াবহ কিছু ঘটছে।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশ, শিনজিয়াং প্রদেশে প্রায় ১০ লাখ মুসলমানকে বন্দি শিবিরে আটক রেখেছে চীনা কর্তৃপক্ষ।
তবে চীনা কর্তৃপক্ষের দাবি, এটি বন্দিশিবির নয় বরং ভোকেশনাল প্রশিক্ষণ কেন্দ্র। এখানে ভাষা, সংস্কৃতি ও পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
গত আগস্ট মাসে জাতিসংঘ দ্রুত এসব বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছিল।
জর্জটাউন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসবিদ জেমস মিলওয়ার্ডের বরাত দিয়ে টার্কেল বলেন, শিনজিয়াংয়ের সমস্যা চূড়ান্তভাবে সমাধানের চেষ্টা করছে বেইজিং। আমাদের মধ্যে যারা ইতিহাসের ছাত্র রয়েছেন তারা জানেন এর মানে কী। সরকার অথবা একটি কর্তৃপক্ষ যখন এ ধরণের আদর্শ বাস্তবায়নে উৎসাহ দেখান এর পরিণতি কী হয় আমরা দেখেছি।
উল্লেখ্য, চীনের এ প্রদেশের মুসলিমদের তাদের ধর্মপালনের কোনো অধিকার নেই। রোজা রাখা, দাড়ি রাখা নিষিদ্ধিসহ ঘরে কুরআন ও ধর্মীয় বইও রাখতে পারেন না তারা। এছাড়াও কারাগারে মুসলিমদের ওপর অমানসিক সব নির্যাতনের ঘটনাও গণমাধ্যমে এসেছে।
উইঘুর মুসলিমদের শরীরে সুই ফুটানো ও নখ তুলে নেয়া হয়
আরআর