আওয়ার ইসলাম: আত্মতুষ্টিতে না ভুগে নেতাকর্মীদের সবসময় সতর্ক থাকার আহ্বান জানালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে সব জায়গায় দল ও সরকারের সাফল্য তুলে ধরতে বলেন প্রধানমন্ত্রী।
সোমবার সকালে গণভবনে দেয়া এক সংবর্ধনায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকালে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড’ ও ‘স্পেশাল ডিস্টিংশন অ্যাওয়ার্ড ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড পাওয়ায় শেখ হাসিনাকে এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
শেখ হাসিনা বলেন, ষড়যন্ত্র এখনও শেষ হয়নি, এটি মাথায় রেখেই চলতে হবে। আত্মতুষ্টিতে থাকা যাবে না, আত্মতুষ্টি মানেই পতন। প্রতিপক্ষকে সবসময় শক্তিশালী মনে করেই চলতে হবে।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দলের সাফল্য সব জায়গায় তুলে ধরতে হবে। ভোটের অধিকার কেবল আওয়ামী লীগই প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে।
তিনি আরো বলেন, এবারের সফরে অনেক সম্মান পেয়েছি। বিশ্বনেতাদের দেওয়া এ সম্মান বাংলাদেশের সম্মান, পুরস্কার দেশের জনগণকে উৎসর্গ করলাম
এর আগে সকাল সোয়া ৯টায় প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ভিভিআইপি ফ্লাইট হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়। সেখান থেকে তিনি যান তার সরকারি বাসভবন গণভবনে।
এর আগে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে যোগদানের লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২১ সেপ্টেম্বর নিউইয়র্কের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন। ২৭ সেপ্টেম্বর তিনি জাতিসংঘ সদরদফতরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৩তম অধিবেশনে বাংলায় ভাষণ দেন এবং জাতিসংঘ মহাসচিব এন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করেন।
এই সফরে প্রধানমন্ত্রী রোহিঙ্গা সঙ্কট, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা কার্যক্রম, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী শিক্ষা এবং বৈশ্বিক মাদকদ্রব্য সমস্যা নিয়ে কয়েকটি উচ্চপর্যায়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
এ ছাড়া তিনি ইউএস চেম্বার অব কমার্স আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজ ও গোলটেবিল বৈঠকে যোগদেন। নেদারল্যান্ডসের রানী ম্যাক্সিমা, এস্তোনিয়ার প্রেসিডেন্ট ক্রেস্টি কালজুলেইদ এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেইও-এর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। শেখ হাসিনা মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেয়া সংবর্ধনা সভায়ও যোগদেন।
এ সময় আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা ইন্টার প্রেস সার্ভিস (আইপিএস) প্রদত্ত সম্মানজনক ‘ইন্টারন্যাশনাল এ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তচ্যুত ১০ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা নাগরিককে আশ্রয়দানের মাধ্যমে মানবিকতার উদাহরণ সৃষ্টি করায় তাকে এই পদকে ভূষিত করা হয়।
রোহিঙ্গা সঙ্কট মোকাবেলার জন্য গ্লোবাল হোপ কোয়ালিশন-এর পরিচালনা পর্ষদ তাকে ‘২০১৮ স্পেশাল রিকগনাইজেশন ফর আউটস্ট্যান্ডিং লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড-এ ভূষিত করে।
আরএম/