আওয়ার ইসলাম: বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করলেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ।
তিনি বলেছেন, আমরা আগেও বলেছি, যতো লোককে নিয়ে পারা যায় ঐক্য করা ভালো। (বিকল্প ধারার সভাপতি) ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী যখন বিএনপির মহাসচিব ছিল, তখন মুসলিম লিগের শাহ আজিজুর রহমান প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। জয়পুরহাটের সাজাপ্রাপ্ত (যুদ্ধাপরাধী) আব্দুল আলীম রেলমন্ত্রী ছিলেন।
এ ধরনের অনেকেই বিএনপিতে ছিল। ডা. বদরুদ্দোজা সাহেব তাদের মহাসচিব ছিলেন। তাহলে সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে বক্তব্যে পার্থক্য হচ্ছে কেন? মাংস হালাল, আর ঝোল হারাম, এটা কেন?
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে এলডিপির প্রধান কার্যালয়ে বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের এলডিপিতে যোগদান অনুষ্ঠানে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
ঐক্য গড়তে বিএনপিকে জামায়াত ছাড়ার যে পরামর্শ বি. চৌধুরী দিয়েছেন তারও তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
বলেন, বি. চৌধুরী সাহেব যখন রাষ্ট্রপতি ছিলেন, তখনতো মুজাহিদ ও নিজামী সাহেব মন্ত্রিসভার সদস্য ছিলেন। তখন তো তিনি এগুলো নিয়ে কথা বলেননি। এখন কেন এমন শর্ত?
কওমি মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার – বিস্তারিত জানুন
তিনি বলেন, যাদের পেছনে কোনো লোক নেই, তাদের মাহাথির মুহাম্মদ বানানো যাবে না।মাহাথির মোহাম্মদ মালশিয়ার জন্মদাতা। আধুনিক মালয়েশিয়ার নির্মাতা। যার বিরুদ্ধে কোনো দুর্নীতির অভিযোগ নেই। স্বজনপ্রীতির অভিযোগ নেই। আর আমরাতো ছেলের কাছেই বিক্রি হয়ে যাই। আমাদের ছেলেরা ভিওআইপির ব্যবসা করে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, যারা আজকে ঐক্যজোটে তাদের অনেকের ছেলে ভিওআইপির ব্যবসা করে। তাহলে ভিওআইপির ব্যবসা কার থেকে নিয়েছে? আওয়ামী লীগের কাছ থেকে, সজীব ওয়াজেদ জয়ের কাছ থেকে নিয়েছে। আর এদিকে বলছে আমরা ঐক্য করছি।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণতান্ত্রিক মহিলা দলের সভাপতি অধ্যাপিকা খালেদা খাতুন প্রমুখ।
আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
-আরআর