আবদুল্লাহ তামিম: মাঝ সমুদ্রে ভাসছে বিশালাকায় একটি বিমান। একটু একটু করে ডুবতেও শুরু করেছিল। বাঁচানোর জন্য আর্তনাদ ভেসে আসছিল বিমানের ভিতর থেকে।
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কাছ থেকে খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন উদ্ধারকারীরা। ছোট ছোট নৌকায় করে যাত্রীদের একে একে উদ্ধার করেন। বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচে এয়ার নিউগিনির ওই বিমানটি।
শুক্রবার (২৮ সেপ্টেম্বর) মাইক্রোনেশিয়া দ্বীপে ওয়েনো বিমানবন্দরে অবতরণ করতে যাচ্ছিল বিমানটি। ১১ জন বিমানকর্মীসহ মোট ৪৭ জন যাত্রী ছিলেন বিমানটিতে।
বিমানবন্দরের কয়েক মিটারের মধ্যেই একটি সমুদ্র রয়েছে। নাম চুক। বিমানটি রানওয়েতে অবতরণ করতে গিয়েই বিপত্তি ঘটে। ছিটকে গিয়ে চুক সমুদ্রে গিয়ে পড়ে।
এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, হ্রদের সামনেই ছিলেন তিনি। হঠাৎই দেখেন বিশাল একটা কিছু জলে আছাড় খেয়ে পড়ল। চমকে উঠে সে দিকে তাকাতেই দেখেন একটি বিমান পানিতে ভাসছে।
আর বিমানের ভিতর থেকে বাঁচানোর জন্য যাত্রীদের আর্তনাদ ভেসে আসছে। ততক্ষণে বিমানটি একটু একটু করে ডুবতে শুরু করেছিল।
ইতিমধ্যেই আরও লোকজন জড়ো হয়ে যান সেখানে। সকলে মিলে নৌকা নিয়ে বিমানের কাছে পৌঁছে যাত্রীদের উদ্ধারের কাজে নেমে পড়েন। উদ্ধারকারী দলকে খবর দেওয়া হয়।
তিনি আরও জানান, খুব দ্রুততার সঙ্গে উদ্ধারকাজ চালানো হয়েছে। না হলে অনেক প্রাণহানি ঘটতে পারতো।
তবে কী কারণে বিমানটি ভেঙে পড়ল তা অবশ্য স্পষ্ট নয়। যান্ত্রিক গোলযোগ না কি অন্য কোনও কারণ তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। বিমান কর্তৃপক্ষও একটি তদন্তকারী কমিশন গঠন করে তদন্ত শুরু করেছে।
ওয়েনো বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে বিমানটি। তবে এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানি ঘটেনি। কয়েক জন আহত হয়েছেন। তাদের হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। সূত্র: বিবিসি
এটি/আওয়ার ইসলাম
আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক