শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
জুমার খুতবার আগে ব্রেন স্ট্রোক, রাতে ইন্তেকাল তরুণ ইমামের জামিয়া গহরপুরের ফুজালা ও প্রাক্তনদের আয়োজনে ‘মাহফিলে নূর’ সম্প্রীতির বাংলাদেশে অসাম্প্রদায়িক সকল অপশক্তিকে রুখে দিতে হবে: ছাত্র জমিয়ত চিন্ময়ের মুক্তি চাওয়া বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ভারতের উলম্ব অভিযান: রিজভী মতিঝিল থানা হেফাজতে ইসলামের কমিটি গঠন এডভোকেট হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে চাঁদপুর পলিটেকনিক শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ ‘সংবিধানে কুরআন-সুন্নাহর সাথে সাংঘর্ষিক কোন কিছু রাখা যাবে না’ চাঁদপুর জেলা সিরাত সম্মেলন আগামীকাল, থাকছেন হেফাজত আমীর চট্টগ্রামে ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে হেফাজতের বিক্ষোভ-সমাবেশে জনস্রোত মৌলভীবাজারে আইনজীবী হত্যা ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল

ইদলিবে ইস্যুতে এরদোগানকে ট্রাম্পের অভিনন্দন

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আবদুল্লাহ তামিম: সিরিয়ার ইদলিব প্রদেশে যুদ্ধাবস্থার মানবিক বিপর্যয় এড়াতে তুরস্কের কুটনৈতিক ভূমিকার জন্য দেশটির প্রেসিডেন্টকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে বুধবার দেয়া বক্তব্যে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমি তুরস্ককে ধন্যবাদ জানাচ্ছি সিরিয়ার ইদলিব প্রসঙ্গে সমঝোতা তৎপরতার জন্য। এ ব্যাপারে সহায়তার ইচ্ছা ও সক্ষমতা আমেরিকার আছে।

আমেরিকা এ বছর জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। ইদলিবে আক্রমণ থেকে বিরত থাকায় রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়া সরকারকেও ধন্যবাদ জানান ট্রাম্প।

তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ধরুন এবং আমি আশা করছি, এ পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে। বিশ্ব তাকিয়ে রয়েছে। একই দিনে নিউইয়র্কের এক সংবাদ সম্মেলনেও ট্রাম্প তুরস্কের পুনরায় প্রশংসা করেন।

সেখানে তিনি বলেন, তুরস্ক ইদলিব নিয়ে অত্যন্ত চমৎকার কাজ করেছে এবং আমাদের প্রচুর সাহায্য করেছে। সম্প্রতি ইদলিবে উত্তেজনা কমাতে রাশিয়া ও তুরস্ক সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করেছে।

ওই সমঝোতা অনুযায়ী উভয় দেশ ইদলিবে বেসামরিক নাগরিকদের জন্য ‘নিরাপদ অঞ্চল’ গড়ে তুলবে। সেখানে কোন পক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত হবে না এবং কোন সেনা ও সামরাস্ত্র রাখবে না।

১০ অক্টোবরের মধ্যে সেখান থেকে সব পক্ষকে অস্ত্র ও সেনা সরিয়ে নিতে বলা হয়েছে। ১৫ অক্টোবর থেকে এটা কার্যকর হবে। তবে নিরাপদ অঞ্চলে নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তুরস্ক ও রাশিয়া সামরিক টহল পরিচালনা করবে।

মূলত সেখানে নিবৃত করার চেষ্টা করা হচ্ছে বাশার আল-আসাদ সরকার ও বিদ্রোহীদের মধ্যকার সম্মুখযুদ্ধকে।

এদিকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যিব এরদোগান ও জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তেনিও গুতেরেস নিউইয়র্কে ইদলিব প্রসঙ্গে বৈঠক করেছেন।

সিরিয়ার উত্তেজনা নিরসন এবং কীভাবে দেশটির রাজনৈতিক তৎপরতা স্বাভাবিক করা যায় তাই নিয়ে তারা আলোচনা করেন।

আগামী সংসদে দেখা যেতে পারে ডজনখানেক আলেম সাংসদ

ইদলিব সিরিয়ার সর্বশেষ বিদ্রোহী অধ্যুষিত প্রদেশ। সিরিয়ার বিভিন্ন প্রদেশ থেকে রাশিয়া ও ইরানের সহযোগিতায় আসাদ সরকার কর্তৃক সশস্ত্র বিদ্রোহীরা বিতাড়িত হয়ে এখন ইদলিবে আশ্রয় নিয়েছে।

চারিদিক দিয়ে ঘেরাওকৃত ৭০ হাজার বিদ্রোহী যোদ্ধা ছাড়াও ইদলিবে প্রায় ৩০ লাখ বেসামরিক মানুষ বাস করেন। সিরিয়া সরকার সর্বাত্মক হামলা চালালে প্রচুর হতাহতেও আশঙ্কা করা হচ্ছিল।

এছাড়া যুদ্ধ হলে স্বাভাবিকভাবেই শরণার্থীদের ঢেউ আছড়ে পড়তো পার্শ্ববর্তী তুরস্কে। তুরস্ক দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করার জন্য চেষ্টা করে আসছিল। অবশেষে নিরাপদ অঞ্চল গড়ার মাধ্যমে জনমনে কিছুটা স্বস্থি ফিরে এসেছে।

সূত্র: ডেইলি সাবা

আপনার ব্যবসার হিসাব এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ