আওয়ার ইসলাম: সরকারি চাকরিতে নিয়োগে সব ধরনের কোটা বাতিলের প্রস্তাব মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে অনুমোদনের জন্য উত্থাপন করা হচ্ছে।
অনুমোদনের পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করবে বলে সংশ্লিষ্ট এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
ওই কর্মকর্তা জানান, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা নিয়ে গঠিত কমিটির সুপারিশ আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে আমরা তা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠিয়েছি। মন্ত্রিসভার আগামী বৈঠকে এই বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে বলে আমরা আশা করছি।
এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিব মুহাম্মদ শফিউল আলমের নেতৃত্বে গঠিত কোটা পর্যালোচনা কমিটি প্রধানমন্ত্রীর কাছে সুপারিশ জমা দেয়। কমিটি সরকারি চাকরিতে সব ধরনের কোটা উঠিয়ে দিতে সুপারিশ করে।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে গত ২ জুলাই কোটা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করে তা সংস্কার বা বাতিলের বিষয়ে সুপারিশ দিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে সরকার।
কমিটিকে পরবর্তী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়। গত ৮ জুলাই প্রথম সভা করে কমিটি। এরপর কমিটির মেয়াদ আরও ৯০ কার্যদিবস বাড়ানো হয়।
বর্তমানে সরকারি চাকরিতে সংরক্ষিত কোটা ৫৬ শতাংশ। বাকি ৪৪ শতাংশ নেওয়া হয় মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে।
বিসিএসে নিয়োগের ক্ষেত্রে মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৩০, জেলা কোটায় ১০, নারী কোটায় ১০ ও আদিবাসী কোটায় ৫ শতাংশ চাকরি সংরক্ষণ করা আছে।
এই ৫৫ শতাংশ কোটায় পূরণযোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে ১ শতাংশ পদে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের নিয়োগের বিধান রয়েছে।
আপনার মাদরাসার জন্য নিন কওমি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার