আওয়ার ইসলাম: অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ কয়েকটি দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে খালেদা জিয়ার সাবেক উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর ভাই ও আত্মীয়সহ চারজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সকাল সোয়া ১০টার দিকে সংস্থাটির সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধান কর্মকর্তা গুলশান আনোয়ার প্রধান তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছেন।
যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে, তারা হলেন- মোসাদ্দেক আলী ফালুর ভাই মুহাম্মদ নুরুদ্দিন আহমেদ, তার নিকটাত্মীয় মুহাম্মদ আশরাফুল হক, মুহাম্মদ মাহতাব উদ্দিন ও মুহাম্মদ শাহাবউদ্দিন।
গত ২০ সেপ্টেম্বর তাদের তলব করে নোটিশ দেয়া হয়। দুদক সূত্রে জানা যায়, মোসাদ্দেক আলী ফালু অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন ও সরকারের অনুকুলে বাজেয়াপ্তযোগ্য অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এর কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় অন্যের নামে আমমোক্তার দলিল করেছেন।
অভিযোগ রয়েছে মোসাদ্দেক আলী ফালু তার দুই ভাতিজা মুহাম্মদ আশফাক উদ্দিন আহমেদ ও নাঈম উদ্দীন আহমেদর নামে সব সম্পত্তি ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ দলিল করেছেন।
ফালু দুর্নীতির মাধ্যমে এসব সম্পত্তি অবৈধভাবে অর্জন করেছেন ও তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হয়ে যাওয়ার ভয়ে তিনি তার দলিলের মাধ্যমে দুইজনকে দিয়ে দিয়েছেন।
এসব দলিল সম্পাদনের ক্ষেত্রে অবৈধভাবে ‘লাভবান’ হয়ে দুবাই থেকে বাংলাদেশের ভাইস কনস্যুলার মো. মেহেদুল ইসলাম ও বাংলাদেশ থেকে সহকারী পররাষ্ট্র সচিব মো. মাসুদ পারভেজ ফালুকে সহযোগিতা করেছেন বলে অভিযোগে বলা হয়েছে।
অভিযোগে আরও বলা হয়, মোসাদ্দেক আলী ফালু তেজগাঁও, ধানমন্ডি, উত্তরা এবং গুলশান সাব-রেজিস্ট্রার এলাকায় থাকা তার পাঁচটি ফ্ল্যাট ও এসব ফ্লাটের পার্কিংয়ের স্থানসহ অন্যান্য সম্পত্তি রোজা প্রোপার্টির দুই পরিচালক আশফাক উদ্দিন ও নাঈম উদ্দীনকে দলিল করে দিয়েছেন।
এছাড়া তেজগাঁও শিল্প এলাকায় বাড়ির ভূমি ২ দশমিক ৫২০২ কাটা; তেজগাঁও মৌজার ৬৬০ অযুতাংশ বাড়ি ভূমি; উত্তরখান মৌজার ৩৪ শতাংশ ভিটি ভূমি ও এসব ভূমির ওপর ৬৪টি দোকান এবং জোয়ার সাহারা মৌজার ২৪৭ দশমিক ৫০ অজুতাংশ ভিটি ভূমি ফালু দলিল করে দিয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগে বলা হয়।
আপনার মাদরাসার জন্য নিন কওমি ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার