আওয়ার ইসলাম: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুছ আহমাদ বলেছেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ স্বাধীন সাংবাকিতা ও মতপ্রকাশকে বাধাগ্রস্ত করবে।
এ আইনের বিধান অনুসারে, পুলিশ কর্মকর্তারা কোনো গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়াই যেকোনো লোককে তল্লাশি ও গ্রেফতার করতে পারবে। ফলে নিরীহ মানুষ হয়রানীর শিকার হবে।
এ আইনের কিছু ধারার অপরাধকে জামিনের অযোগ্য অপরাধ বিবেচনা করা হয়েছে। সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো সুরাহা না করেই এ আইনটি পাস করা হলো। এ আইনটি সংবিধানের মূল চেতনার বিরুদ্ধে গেছে এবং এটি মুক্তচিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বাধা সৃষ্টি করবে।
তা ছাড়া, এটি স্বাধীন সাংবাদিকতাকে বাধাগ্রস্ত করবে। তিনি ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮’ বাতিলের দাবি জানান।
মহাসচিব বলেন, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে দেশবাসী সোচ্চার। দেশ এখন অনিশ্চয়তার পথে। এখন ন্যায়বিচার পাওয়াই মুশকিল।
উচ্চ ও নিম্ন আদালতের দিকে তাকালে দেখা যায় আইনের শাসনের কত অভাব। সরকারি দলের জন্য এক ধরনের আইন আর সাধারণ মানুষের জন্য আরেক ধরনের আইন। নূ্যূনতম সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্বাচনকালীন সরকার হবে কিনা তা নিয়েও প্রশ্ন আছে।
আজ বিকেলে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ঘোষিত ৫ অক্টোবর জাতীয় মহাসমাবেশ সফলের লক্ষ্যে মহাসমাবেশ বাস্তবায়ন সাব কমিটির এক সভায় তিনি একথা বলেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব অধ্যাপক মাওলানা এটিএম হেমায়েত উদ্দিন, অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, মাওলানা আহমদ আবদুল কাইয়ূম, মাওলানা লোকমান হোসাইন জাফরী, মাওলানা দেলাওয়ার হোসাইন সাকী প্রমুখ।
ধানমন্ত্রীকে গণসংবর্ধনা দেবে আলেমরা
আপনার ব্যবসাকে সহজ করতে এলো বিসফটি – বিস্তারিত জানুন