আওয়ার ইসলাম: কাতার ধর্মমন্ত্রণালয়ের ইসলামিক কালচারাল সেন্টারের ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশীদের জন্য অনুষ্ঠিত হলো মুহাররমের তাৎপর্য ও বৈশিষ্ট্য বিষয়ক প্রশিক্ষণ কোর্স।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর দোহার বিন যায়েদ সেন্টারে আয়োজিত প্রশিক্ষণ পরিচালনায় ছিলেন হাফেজ মাওলানা ইউসুফ নূর, হাফেজ মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান ও হাফেজ নুরুল আমীন।
আলোচনায় অংশ নেন শফিকুল ইসলাম প্রধান, মুফতি আহসানুল্লাহ ও অধ্যাপক আমিনুল হক। মহিলা কর্ণারে আলোচনা করেন মাওলানা মাহমুদা আমিন।
বক্তারা মুহাররমের করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়ে সঠিক জ্ঞান লাভের মাধ্যমে ঈমান ও আমল শুদ্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন এবং আশুরার চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সামাজিক অবিচার ও রাষ্ট্রীয় অত্যাচারের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার আহবান জানান।
মুহাররমকে কেন্দ্র করে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে নানাবিধ রুসুম রেওয়াজ ও শরীয়ত বিরোধী কর্মকাণ্ডের নিন্দা করে মাওলানা নুরুল আমিন বলেন, ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় মুহাররমের তাজিয়া মিছিল বের করা হয়, যা শিরিক ও বিদাতের বিভৎসরুপ মাত্র। ঈমান ও আমল সংরক্ষণের জন্য এসব প্রথার বর্জন ও বিরুদ্ধাচরণ জরুরি।
মহররম ও আশুরাকেন্দ্রিক নানা কুসংস্কার
মাওলানা মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ইসলামি বর্ষের প্রথম মাস মুহাররম। নতুন বছরকে স্বাগত জানানোর পাশাপাশি বিগত বছরের রিপোর্ট পর্যালোচনা করা তাকওয়া ও ঈমানের দাবী।
মহানবী সা. বলেছেন তোমরা পাঁচ অবস্থাকে পাঁচ অবস্থার পূর্বে মূল্যায়ন করো। ১। যৌবন কালকে বার্ধক্য আসার পূর্বে ২। সুস্থতাকে অসুস্থ হওয়ার আগে ৩। প্রাচুর্যতাকে দারিদ্রতা আসার পূর্বে ৪।অবসরকে ব্যস্ত হওয়ার আগে ৫। এবং জীবনকে মৃত্যুবরণ করার পূর্বে।
ক্ষণস্থায়ী জীবনে পরকালের পাথেয় সংগ্রহ করাই বুদ্ধিমত্তার পরিচয়।
মাওলানা ইউসুফ নূর বলেন, মানব ইতিহাসের নিকৃষ্ট স্বৈরাচার ফেরাউনের পতন ও সত্যের পতাকাবাহী মূসা আ. ও তাঁর সহযোগীদের মুক্তিলাভের মহান স্মৃতি বিজড়িত আশুরা। প্রিয় নবী সা. এ দিনে রোজা রেখে জালিমশাহীর বিরুদ্ধে আজীবন জিহাদের বিপ্লবী চেতনা বুকে ধারণের শিক্ষা দিয়ে গেছেন।
একই দিনে কারবালার প্রান্তরে মুসলিম নামধারী স্বৈরশাসক ইয়াজিদ বাহিনীর হাতে হযরত হোসাইন রা. ও নবী পরিবারের ৭২জন সদস্য শাহাদত বরণ করে রেখে গেছেন অসত্যের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের এক দুর্নিবার প্রেরণা।
আল্লামা আবুল হাসান আলী নদভী বলেছেন, হযরত হোসাইন জীবন দিয়ে প্রমাণ করে গেছেন অত্যাচারী মুসলিম শাসকের বিরুদ্ধেও জিহাদের পতাকা উড্ডীন করা ফরজ ও কালিমার দাবী।
খাজা মঈনুদ্দিন চিশতী আজমিরী বলেছেন, ‘প্রকৃত বাদশা ও অধিপতি হচ্ছেন হোসাইন।
দ্বীনের প্রতীক ও আশ্রয়স্থল হচ্ছেন হোসাইন, শির দিয়েছেন কিন্তু ইয়াজিদে হননি বিলীন, আসলেই লা ইলাহার স্বারক হচ্ছেন হোসাইন।’
মুহাম্মদ আলী জাওহার সত্য বলেছেন, ‘হোসাইনের মৃত্যু আসলে ইয়াজিদেরই মরণ, প্রত্যেক কারবালার পরে ইসলাম পায় নতুন জীবন।’
সম্পূর্ণ ফিতে নিন অ্যাকাউন্টিং ও ইনভেস্টরি সফটওয়ার