আওয়ার ইসলাম: তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান বলেছেন, তুরস্কের বর্তমান ‘সমস্যা’ শুধুমাত্র তার নিজের বা তার দলের নয় বরং এটি ‘তুরস্ক এবং ইসলামের’ জন্যও।
কেননা, পশ্চিমারা ইসলাম ও তুরস্কের সহ্য করতে পারছে না। রোববার মালাজগ্রিতের যুদ্ধ জয়ের ৯৪৭তম বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে দেশটির পূর্বাঞ্চল মুসে দেয়া এক ভাষণে এরদোগান বলেন, তুরস্কের নিরাপত্তা শুধুমাত্র এর সীমান্ত রক্ষা করার জন্য নয় বরং বিশ্বের যে প্রান্তেই কোনো ভাই আক্রান্ত হবে সেখানেই তুরস্কের নিরাপত্তা পৌছাবে।
সুতরাং আমাদেরকে রাজনৈতি, কূটনৈতিক, অর্থনৈতিক, ব্যবসাবাণিজ্য এবং প্রযুক্তিগতভাবে শক্তিশালী হতে হবে। অন্যথায়, আমাদের এই মাতৃভূমি বা বিশ্বের যেকোনো প্রান্তেই হোক না কেন তারা আমাদেরকে পৃথিবীতে একটি দিনের জন্যও বেঁচে থাকতে দিবে না।
যদি আমরা এমনকি নূন্যতম দুর্বলতাও দেখাই অথবা চলমান সমস্যাকে এভাবেই চলতে দিই, তবে আপনি দেখতে পাবেন তারা আমাদের দিকে ফণাওয়ালা শাপের ন্যায় ধেয়ে আসবে।
এই সমস্যা শুধুমাত্র তুরস্কের নয়। এই সমস্যা ইসলামেরও, যেটাকে তারা আমাদের জাতির সাথে প্রতিকী করে তারা দেখায়।
প্রায় এক হাজার বছর আগে তুর্কি সৈন্যদের আনাতোলিয়া বিজয়কে এরদোগান স্মরণ করে বলেন, মালাজগ্রিতের(মানজিক্রেত) যুদ্ধ জয়ের ফলে তুর্কিদের জন্য ইউরোপের দ্বার উন্মুক্ত হয়েছিল।
মালাজগ্রিতের যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২৬শে আগস্ট ১০৭১ সালে। এই দিন সেলজুক তুর্কিগণ সুলতান আলফারসালানের নেতৃত্বে বাজাইন্টাইন সৈন্যবাহিনীকে পরাজিত করার মাধ্যমে আনাতোলিয়াতে তুর্কি শাসনের দ্বার উন্মুক্ত করেন।
আনাতোলিয়াকে মানব জাতির জন্য ভবিষ্যৎ বলে উল্লেখ করে এরদোগান বলেন, ‘যদি আনাতোলিয়ার পরাজয় হয় তবে মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, এশিয়া বলকান এবং ককেশাস অঞ্চলের অস্তিত্ব থাকবে না।
আমরা শুধুমাত্র মালাজগ্রিতের যুদ্ধে জয়ীই হইনি বরং আমারা কোন জাতি তা বিশ্ববাসীকে এটা দেখিয়েছি দিয়েছি।
তুরস্কের আইনসভার স্পীকার এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিনালি ইলদিরিম বলেন, ‘যারা তুরস্কের ঐক্যকে ভেঙ্গে দিতে চায়, তারা কখনো তা অর্জন করতে পারবে না।
তুরস্কের অর্থনীতির উপর আক্রমণ করে তারা কোন ফল লাভ করতে পারবে না এবং ভবিষ্যতেও তারা তা অর্জন করতে পারবে না।
ওয়াশিংটনের প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে তিনি দুই দেশের সম্পর্ককে পুনরায় দৃঢ় করার জন্য নতুন পদক্ষেপ নেয়ার আহ্বান জানান।
যুক্তরাষ্ট্রের যাজক এন্ড্রু ব্রানসনকে আটকের জের ধরে দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তুরস্কের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার পরে আঙ্কারা এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে রাজনৈতিক দূরত্ব তৈরি হয়েছে এবং এর ফলে তুরস্কের অর্থনীতিতে মন্দাভাব লক্ষ্য করা গেছে।
ইউরোপের কাছ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়ে এবং তুরস্কে কাতারের ১৫বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতির পর তুর্কি লিরার মান পুনরায় একটি স্থিতিশীল অবস্থানে এসেছে।
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম