আওয়ার ইসলাম: আগামী ১৩ অক্টোবর উদ্বোধন হতে যাচ্ছে ‘শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট’।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম শুরু মধ্য দিয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে আরেকটি ইতিহাস গড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশ।
এই ইনস্টিটিউটের নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের জানুয়ারি মাসে। প্রকল্প মেয়াদ অনুযায়ী, কাজ শেষ হওয়ার কথা এই বছরের ডিসেম্বর মাসে।
কিন্তু নির্মাণ কাজ শেষ হয়ে যাওয়ায় দুই মাস আগেই উদ্বোধন করা হচ্ছে। ছোটখাটো কিছু কাজ বাকি থাকলেও তা শেষ হতে ডিসেম্বর পার হবে না।
অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি সমৃদ্ধ এই ইনস্টিটিউটে থাকছে একশোটি কেবিন। হাইডেফিসিয়েন্সি ইউনিটে থাকছে ৬০ বেড, ১২টি অস্ত্রোপচার থিয়েটার এবং অত্যানুধিক পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ড।
বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারির অত্যাধুনিক চিকিৎসা এখানে দেওয়া হবে। ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের পুরাতন ভবনের সঙ্গে একটি ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে সংযোগ স্থাপন করা হবে নতুন এই ভবনের।
এই বার্ন ইনস্টিটিউট ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় অনুমোদন পায়। পরের মাসের ২৯ তারিখ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক অনুমোদন পায়।
২০১৬ সালের ৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চানখাঁর পুলে ইনস্টিটিউটের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২৭ এপ্রিল বাংলদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ারিং কোর নির্মাণ কাজ শুরু করে।
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট হবে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বার্ন ইনস্টিটিউট।
এতো বড় ইনস্টিটিউট এই সাবজেক্টে পৃথিবীর আর কোথাও নেই। কারণ, বাংলাদেশে যত মানুষ দগ্ধ হয়, বিশ্বের আর কোনো দেশে এত মানুষ দগ্ধ হয় না। আর এখানে শুধু পোড়া রোগীর চিকিৎসা হবে না, থাকবে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা এবং গবেষণা।
আরো পড়ুন–
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ৬৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা
প্রিয়নবির স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা
মসজিদে নববীর অদূরে ঐতিহাসিক ৩ মসজিদ
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম