আওয়ার ইসলাম: ব্যক্তিগত কথোপকথনে আজানের উচ্চস্বর নিয়ে আপত্তি জানান চীনা বংশোদ্ভূত এক খ্রিস্টান নারী।
২০১৬ সালের এ ঘটনার মেইলিয়ানা নামে ওই নারীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সম্প্রতি সুমাত্রার একটি আদালত অভিযুক্ত নারীকে ধর্ম অবমাননা দায়ে দেড় বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এদিকে মাইকের আজানের উচ্চস্বর নিয়ে আপত্তি জানানো ধর্ম অবমাননার আওতায় পড়ে না বলে মন্তব্য করেছেন ইন্দোনেশিয়ার ধর্মীয় সংগঠন নাহদাতুল উলামা।
গতকাল শুক্রবার সংগঠনটির তরফ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, আজানের উচ্চস্বর নিয়ে আপত্তিকে গঠনমূলক সমালোচনা হিসেবেই দেখা উচিত।
প্রায় চার কোটি সদস্যের সংগঠন নাহদাতুল উলামার আইন বিভাগের প্রধান রবিকিন এমহাস বলেছেন, ‘মাইকে দেওয়া আজানের শব্দ অনেক বেশি, এমনটা বললে তাকে ধর্ম অবমাননা হিসেবে গণ্য করা যায় না।
বরং ইন্দোনেশিয়ার মতো একটি বহুত্ববাদী সমাজে এমন অভিযোগকে মুসলমানদের গঠনমূলক সমালোচনা হিসেবেই দেখা উচিত।
অভিযুক্ত নারীর আইনজীবী আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার কথা জানিয়ে উল্লেখ করেছেন, ২০১৬ সালে তার মক্কেল ব্যক্তিগত কথোপকথনে মসজিদে ব্যবহৃত মাইকের উচ্চ শব্দ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন।
কিন্তু তার বক্তব্যকে এমনভাবে বিকৃত করে উপস্থাপন করা হয়েছে যেন তিনি আজানেরই বিরুদ্ধাচরণ করেছেন।
আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল আদালাতের এ রায়কে হাস্যকর আখ্যা দিয়েছে। সংগঠনটির উদ্যোগে ইন্টারনেটে একটি আবেদনপত্র প্রকাশিত হয়েছে অভিযুক্ত নারীর মুক্তি দাবিতে। সেখানে গত শুক্রবার পর্যন্ত প্রায় এক লাখ লাখ মানুষ স্বাক্ষর করেছেন।
এদিকে মসজিদে দীর্ঘ সময় খুতবা দেওয়াকে অপ্রয়োজনীয় আখ্যা দিয়েছে দেশটির মসজিদ কাউন্সিল।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান
আরো পড়ুন–
সিরিয়ার গৃহযুদ্ধে অংশ নিয়েছে ৬৩ হাজারের বেশি রুশ সেনা
প্রিয়নবির স্মৃতি বিজড়িত মসজিদে নামিরা থেকে হজের খুতবা
মসজিদে নববীর অদূরে ঐতিহাসিক ৩ মসজিদ
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এটি/আওয়ার ইসলাম