শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৭ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
অ্যাডভোকেট আলিফের কবর জিয়ারত ও পরিবারের পাশে হেফাজতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ  প্রাইমারি স্কুলে আলেম ধর্মীয় শিক্ষক বাধ্যতামূলক করতে হবে: মাওলানা ইসলামাবাদী বগুড়ায় ছাত্র আন্দোলনে আহত ও শহীদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে আহত ও শহিদদের স্মরণে স্মরণসভা শেরপুরে শেখ হাসিনাসহ ৫৯ জনের নামে মামলা কাল বাদ জুমা বায়তুল মোকাররমে হেফাজতে ইসলামের বিক্ষোভ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে যা বললেন জামায়াত আমীর হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ল ১৫ দিন রাষ্ট্রদ্রোহী সংগঠন চলতে দেয়া হবে না: মাওলানা আহমদ আলী কাসেমী ২২৫০০ কোটি নতুন টাকা ছাপিয়ে ৬ ব্যাংককে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক

কেরালা বন্যা: মসজিদ ডুবে যাওয়ায় মন্দিরে ঈদের নামাজ আদায় মুসলিমদের!

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: ভয়াবহ বন্যা হয়তো কেরালার মুসলিম জনগোষ্ঠীর ঈদের আনন্দকে ফিকে করে দিয়েছে কিন্তু তাদের ধর্মপ্রাণ মানসিকতাকে নয়। নিজেদের মসজিদ ডুবে গেছে বলে মন্দিরে নামাজ পড়লেন কেরালার একটি জেলার মুসলিমরা। সাম্প্রদায়িক সম্মিলনের এ চমৎকার ঘটনাটি ঘটেছে কেরালার ত্রিশুর জেলার কচুকাদুভু গ্রামের মুসলমানদের সাথে।

কেরালায় সম্প্রতি ঘটে যাওয়া ভয়াবহ বন্যায় তলিয়ে যায় কচুকাদুভু গ্রামের একটি মসজিদ। সেখানকার মুসলমানরা নামাজ পড়ার জন্য একটি জায়গা খুঁজছিলেন।

Image result for মসজিদ ডুবে যাওয়ায় মন্দিরে ঈদের নামাজ আদায় মুসলিমদের!

তাদের সাহায্যে এগিয়ে আসেন শ্রী নারায়ণ ধর্মপালন যোগম নামক একটি ধর্মীয় দাতব্য সংস্থা। তার তাদের নিয়ন্ত্রণাধীন পারুপপুল্লিক্কাভু রত্নেশ্বরী মন্দিরের একটি হল মুসলমানদের পবিত্র ঈদের নামাজ পড়ার জন্য ছেড়ে দেয়। মন্দিরটি কেরালার মালার নিকটবর্তী ইরাভাথুর নামক একটি গ্রামে অবস্থিত।

শুধু তাই নয়, নামাজ পড়ে দেয়ার ব্যবস্থা করার পাশাপাশি এই ২০০ মুসলমানদের পানি এবং খাদ্যেরও ব্যবস্থা করে দেয় মন্দির কর্তৃপক্ষ।

চরম বিপদের মুহূর্তে এরকম সাম্প্রদায়িক সম্মিলনের ঘটনা নাড়া দিয়েছে সবাইকে। ভারতসহ সারা বিশ্বের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীরা ঈদের নামাজ পড়ার এই ছবিকে ভাইরাল করে দিয়েছেন।

কেরালা বন্যা: মসজিদে আশ্রয় পেল হিন্দুরা

শতাব্দীর ভয়াবহ বন্যা আক্রান্ত ভারতের কেরালা রাজ্যে সম্প্রীতির অনন্য নজির দেখালেন মুসলিমরা। দুর্গত হিন্দুদের জন্য খুলে দিলেন মসজিদের দরজা। আশ্রয় পেল মানুষ।

মালাপ্পুরম জেলার ছালিয়ার গ্রামের মসজিদটি পরিণত হয়েছে ত্রাণ শিবিরে। উল্লেখ্য, সেই মসজিদে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীদের মধ্যে অধিকাংশই হিন্দু।

বন্যায় কেরলের ১৪টি জেলা প্রবলভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ডুবে গিয়েছে ঘরবাড়ি। ভেসে গিয়েছে সংসার। প্রাণ হারিয়েছেন চারশোর বেশি মানুষ। গৃহহীন ১৪ লক্ষ। ত্রাণ শিবিরই এখন তাঁদের ঠিকানা।

কেরালা বন্যা: মসজিদে আশ্রয় পেল হিন্দুরা

ছালিয়ার গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান পি টি উসমান বলেন, ‘জুমা মসজিদে ২৬টি পরিবার আশ্রয় নিয়েছে। তাঁদের অধিকাংশ হিন্দু। ৮ আগস্ট মসজিদে ত্রাণ শিবির খোলা হয়। আশ্রয়হীন মানুষকে আশ্রয় দেওয়ায় যেকোনও ধর্মের মূল কথা।’

নানা ভাষা, নানা মতের ভারতে বর্তমানে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা চরমে পৌঁছেছে। সেই পরিস্থিতিতে কেরালার এই চিত্র যেন সমগ্র ভারতকে বার্তা দিল।

ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ