আওয়ার ইসলাম: নাটোরের গুরুদাসপুর থেকে গত শুক্রবার ঢাকায় ১৭টি গরু নিয়ে এসেছিলেন আ. রহমান, ফারুক, মিলন ও হালিম নামে ৪ ব্যবসায়ী। তাদের সঙ্গে আজিজুল ও কালাম নামে দুই রাখালও ছিলেন।
পুরান ঢাকার নয়াবাজার গরুরহাটে গরুগুলো বিক্রি করে প্রায় ১৪ লাখ টাকা নিয়ে গত মঙ্গলবার একটি মিনিবাসে করে গাবতলী আসার পথে যাত্রীবেশী ছিনতাইকারীরা তাদের মারধর করে হাত পিছমোড়া করে বেঁধে সব টাকা ছিনিয়ে নেয়।
তাদের সঙ্গে থাকা মোবাইল ফোনগুলো নিয়ে যায় ছিনতাইকারীরা। সব কিছু ছিনিয়ে নিয়ে তাদের রাস্তায় নামিয়ে দিয়ে যায়। পথে কোথায় নামিয়ে দেয়, তাও তারা বলতে পারে না। পকেটে কোন টাকা না থাকায় তারা কেঁদে কেঁদে পায়ে হেঁটে গাবতলী টার্মিনালে এসে বিভিন্ন পরিবহন কাউন্টারে এসে বাড়ি যাওয়ার আকুতি জানান।
এ সময় গাবতলীতে র্যাবের ভ্রাম্যমান আদালত বিষয়টি জানতে পেরে তাদেরকে কোতোয়ালী থানায় ঘটনা উল্লেখ করে মামলা করার পরামর্শ দেন। কিন্তু সহজ-সরল মানুষগুলো আর ঝামেলা পোহাতে চাননি। তারা বাড়ি চলে যাওয়ার জন্য আকুতি জানান।
এ ব্যপারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকারী র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. গাউছুল আজম যুগান্তরকে জানান, ঘটনার বর্ননা শুনে মনে হয় গাড়ির লোকজনও জড়িত। তারা কোন পরিবহনের গাড়িতে উঠেছিল তা বলতে পারেনি। ধারনা করা হচ্ছে- গরুরহাট থেকেই ব্যাবসায়ীদের ফলো করে ছিনতাইকারীরা। বিষয়টি আমরা ফোন করে কোতোয়ালী থানার ওসিকে জানিয়েছি।
তাদের থানায় পাঠাতে চাইলাম। ঢাকায় থাকতে বললাম। তারা এতে রাজি নন। তারা ফিরে যেতে চায় প্রিয় স্বজনদের কাছে। সহজ সরল মানুষগুলোর কান্না দেখে খুব খারাপ লাগলো ।
তাদের গাড়ি ভাড়ার টাকাটি পর্যন্ত ছিলনা, তাই সহযোগিতা চাইল। প্রথমে অনাহারি মানুষগুলোর খাওয়ার ব্যবস্থা করলাম। তারপর শিশির পরিবহনের একটি বাসে তাদের নাটোর যাওয়ার ব্যবস্থা করে দিলাম। যুগান্তর।
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
আরএম/