আওয়ার ইসলাম: মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মদ সোমবার তার দেশের অর্থনৈতিক সমস্যার মোকাবেলায় চীনের উচ্চ পর্যায়ের নেতাদের সমর্থন চেয়েছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মাহাথিরের আগে নাজিব রাজাকের সরকারের সময় কয়েকটি বড় প্রকল্পের জন্য বেইজিংয়ের সঙ্গে যেসব চুক্তি করা হয়েছিল, সেসবের শর্ত মাহাথির পুনর্নির্ধারণের চেষ্টা করছেন।
৯৩ বছর বয়সী মাহাথির মে মাসে অনুষ্ঠিত আগাম নির্বাচনে দুর্নীতির দায়ে অভিযুক্ত নাজিব রাজাককে পরাজিত করে ফের মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী হন। তখন থেকেই তিনি চীনের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে স্বাক্ষরিত কয়েকটি চুক্তির সমালোচনা করে আসছেন।
মাহাথিরের সরকার ইতিমধ্যেই ২২ বিলিয়ন (২,২০০ কোটি) ডলারেরও বেশি মূল্যমানের চীন-সমর্থিত বিভিন্ন প্রকল্প স্থগিত করেছে। এর মধ্যে প্রধান একটি রেলপথ নির্মাণের প্রকল্পও রয়েছে। পাঁচ দিনব্যাপি চীন সফরের সময় মাহাথির এসব চুক্তিতে থাকা অন্যায্য বিভিন্ন শর্ত নিয়ে আলোচনা করার ঘোষণা দিয়েছেন।
বেইজিংয়ের গ্রেট হল অফ পিপলে চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের সঙ্গে একটি সংবাদ সম্মেলনে মাহাথির কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন পণ্য আমদানি বৃদ্ধিতে সম্মত হওয়ায় চীনকে ধন্যবাদ দিলেও, বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির কাছ থেকে তাদের প্রত্যাশা আরও বেশি বলে জানান।
বিশ্বের ধনী দেশগুলো যেন তাদের সম্পদ দিয়ে স্বল্পোন্নত দেশগুলোর কাছ থেকে অন্যায় সুবিধা নিতে না পারে সে বিষয়েও সতর্ক করে দেন মাহাথির।
লি কেকিয়াং এসময় দুই দেশের বাণিজ্যের মধ্যে ‘ভারসাম্য’ লাভে সমর্থ্য হবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
মাহাথির সোমবার বিকেলে প্রেসিডেন্ট শী জিনপিংয়ের সঙ্গে দেখা করবেন।
মাহাথির মূলত তার দেশের ঋণের পরিমাণ, যা বর্তমানে বেড়ে ২৫০ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে, কমাতে চাইছেন।
চীনের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি পরিমার্জনা করতে চাইলেও এই সফরের সময় মাহাথির বেইজিংয়ের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করার জন্য কাজ করবেন।
তিনি ই-কমার্স জায়ান্ট আলিবাবার প্রতিষ্ঠাতা জ্যাক মার সঙ্গে শনিবার দেখা করেছেন। এছাড়াও তিনি চীনের গাড়ি নির্মাতা গিলি এবং মালয়েশিয়ার গাড়ি নির্মাতা প্রোটনের মধ্যে একটি চুক্তি স্বাক্ষরেরও তদারকি করেন।
আরএম/