আওয়ার ইসলাম: সরকারি চাকরিতে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহবায়ক রাশেদ খানসহ এই আন্দোলনে সম্পৃক্ত ২৭ শিক্ষার্থীকে জামিন দিয়েছে আদালত।
সোমবার (২০ আগস্ট) ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতের একাধিক এজলাস তাদের জামিন দেন।
রাশেদসহ ২২ জন শাহবাগ থানায় দায়ের করা মামলার আসামি। বাকি পাঁচজনের বিরুদ্ধে রমনা থানায় মামলা দায়ের হয়েছিল।
গত ১ জুলাই দুপুরে মিরপুর-১৪ নম্বরের ভাষানটেক বাজার এলাকার মজুমদার রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে রাশেদকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
পরে শাহবাগ থানায় করা আইসিটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখায় পুলিশ। মামলাটি দায়ের করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক আল নাহিয়ান খান জয়।
মামলার নথিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে কোটা বাতিলের ঘোষণা দেন, যা প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রক্রিয়াধীন। এরপরও গত ২৭ জুন রাশেদ খান ‘কোটা সংস্কার চাই’ নামে একটি ফেসবুক গ্রুপ থেকে ভিডিও লাইভে এসে বক্তব্য দেন। সেখানে তিনি প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে মানহানিকর বক্তব্য ও মিথ্যা তথ্য দেন।
তথ্যপ্রযুক্তি আইনের এ মামলায় রাশেদ খাঁনকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ।
আন্দোলনের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসির বাসায় ভাঙচুরের আরেক মামলায় রাশেদকে আরও পাঁচ দিন রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
রিমান্ড শেষে গত ১৮ রাশেদকে আদালতে হাজির করা হয়। ওই সময় ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম আসাদুজ্জামান নূর জামিন নাকচ করে রাশেদকে কারাগারে পাঠান। এরপর থেকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
আরএম/