আবদুল্লাহ তামিম: কাতারের নাগরিকদের এ বছর হজ পালনে সৌদি আরব বাধার সৃষ্টি করছে বলে অভিযোগ করেছে দোহা। তবে সৌদি আরবের কর্মকর্তারা এ ধরনের অভিযোগ ইতোমধ্যেই অস্বীকার করেছেন বলে খবর দিয়ে আল-জাজিরা।
জানা গেছে, কোটা পদ্ধতিতে এ বছর কাতার থেকে মাত্র ১২০০ নাগরিককে সৌদিতে হজ পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
যদিও দোহার ওপর যেভাবে সৌদি জোট অবরোধ আরোপ করে রেখেছে, তাতে সেই সংখ্যক হজযাত্রীর যাওয়াটা অসাভাবিক।
কাতারের নাগরিকদের সৌদি আরবে প্রবেশে গত বছর থেকেই নিষেধাজ্ঞা ছিলো। তবে রিয়াদ বলছে, হজ উপলক্ষে সাদরে গ্রহণ করা হবে কাতারের হাজিইচ্ছুদের।
আল জাজিরার প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, দোহার তিনটি ট্রাভেল এজেন্সি বলেছে তারা হজ প্যাকেজ দেওয়ার স্থগিত করেছে সৌদির নির্দেশে।
ব্যবসার হিসাব নিকাশ এখন হাতের মুঠোয়- ক্লিক
এদিকে সৌদি আরব নির্ধারণ করে দেয় কোটা সিস্টেম অনুসারে কোন দেশ থেকে ঠিক কতো সংখ্যক হজযাত্রী রিয়াদে পৌঁছবেন। তবে মধ্যপ্রাচ্যের কিছু দেশের অভিযোগ হজ নিয়ে রাজনীতি করছে সৌদি আরব।
আবার অন্য দিকে গত বছর প্রায় ২৩ লাখ ৫০ হাজার হজযাত্রী সৌদি আরবে গেছেন। এ বছর ধারণা করা হচ্ছে সেই সংখ্যা ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছর ১৯ আগস্ট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে হজ পালন শুরু হবে।
সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মদ বিন সালমানের ভিশন ২০৩০ অনুসারে তেলের বাইরে গিয়ে পর্যটন খাতের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সে অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে দেশটি।
অন্যদিকে নিরাপত্তা ইস্যুতে বেশ কয়েক বছর ধরে কোটা পদ্ধতিতে বিভিন্ন রাষ্ট্র থেকে হজযাত্রী যাওয়ার সংখ্যা ঠিক করে দিচ্ছে সৌদি। এতে করে বিপাকে পড়তে হচ্ছে মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে হাজযাত্রী প্রেরণের ক্ষেত্রে।
এমনকি গণমাধ্যমের খবরে বলা হচ্ছে, হজকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে গত দু’বছর ধরে পররাষ্ট্রনীতি ঠিক করছে সৌদি। এসব বিষয় নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ সৌদির ওপর বেশ চটে আছেন বলে বুঝা যাচ্ছে।
উল্লেখ্য, সৌদিতে ২০ তারিখ হজ অনুষ্ঠিত হবে আর ঈদ হবে ২১ তারিখ।
সূত্র: আল-জাজিরা, ডন নিউজ
কুরবানি দেওয়া নিয়ে যা বললেন অপু বিশ্বাস
-আরআর