আবদুল্লাহ তামিম: ভারতের কেরালায় ভয়াবহ বন্যায় পুরোপুরি বিপর্যস্ত। এখনও পর্যন্ত সরকারি হিসেব অনুযায়ী মৃতের সংখ্যা ৩৫০। বন্যায় আটকে পড়েছেন অনেক মানুষ। আক্রান্ত কয়েক লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে।
ত্রান শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েক লক্ষ গৃহহীন মানুষ। ১৪টি জেলার মধ্যে ১৩টিতে জারি করা হয়েছে সতর্কতা। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ।
নামানো হয়েছে সেনা, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলাকারী দল, র্যাফ। এছাড়া অন্যান্য রাজ্যও সাহায্যের হাত ইতিমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শনিবার কেরালা যান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কোচি বিমানবন্দরে তাকে অভ্যর্থনা জানাতে যান মুখমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।
এরপর বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন তিনি। বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী–সহ অন্যান্য প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে।
ব্যবসায় হিসাবের দুঃশ্চিন্তা দূর করতে এলো বিসফটি- ক্লিক
কেন্দ্রের তরফ থেকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের ৫০০ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেন। পাশাপাশি মৃতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রধানমন্ত্রীর ত্রান তহবিল থেকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০০০০ টাকা দেওয়ার কথাও জানান।
এরপর বিশেষ বিমানে বন্যা কবলিত এলাকাগুলি ঘুরে দেখেন তিনি।এর আগেও কেন্দ্রের তরফ থেকে ১০০ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল।
এদিকে, কেরল সরকারের তরফ থেকে অন্যান্য রাজ্যগুলিরও সাহায্য চাওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে তেলেঙ্গানা ২৫ কোটি টাকা সাহায্যের কথা ঘোষণা করেছে। দিল্লি, পাঞ্জাব, বিহার ১০ কোটি টাকা দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
ওড়িষার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েক ৫ কোটি টাকা ও ২৫০ জন দমকলকর্মীকে বোট-সহ কেরল উদ্ধারকার্যে পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছেন।
একই ভাবে দেশের রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া ঋণ মকুবের পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রান তহবিলে ২ কোটি টাকা দিয়েছে। অন্যান্যরাও একইভাবে কেরলের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী কেরলের বন্যাকে জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছেন। সমবেদনা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
এদিকে, দেশের বাইরে থেকেও সাহায্যের আশ্বাস মিলেছে। ব্রিটেন, আরব আমিরশাহির পক্ষ থেকে কেরলের বন্যা পরিস্থিতিতে সাহায্য করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিলেন ইমরান খান