আওয়ার ইসলাম: ইসরাইলি অধিকৃত অঞ্চলে ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা উন্নয়নে চারটি বিকল্পের কথা বলেছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুয়েতেরেস। তা হল, সেখানে জাতিসংঘের মানবাধিকার ও নিরস্ত্র পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা। এছাড়া জাতিসংঘ নির্দেশিত একটি সামরিক কিংবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা।
চলতি বছর চার মাসেরও বেশি সময় ধরে গাজা উপত্যকায় দখলবিরোধী বিক্ষোভে ইসরাইলি গুলিতে ১৭১জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
সেই প্রেক্ষিতে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের এক প্রতিবেদনে এ প্রস্তাবের কথা বলা হয়েছে। গুয়েতেরেস জোর দিয়ে বলেন, প্রয়োজন অনুসারে ইসরাইল ও ফিলিস্তিনিদের সহযোগিতা নেয়া হবে।
১৪ পাতার প্রতিবেদনে গুয়েতেরেসের প্রস্তাব-
১. সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ করতে জোরালোভাবে জাতিসংঘের উপস্থিতি বাড়াতে মানবাধিকার পর্যবেক্ষক ও রাজনৈতিক কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া। তারা পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন পেশ করবেন।
১. বেসামরিক লোকজনের কল্যাণ নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা বাড়ানো।
৩. একটি বেসামরিক পর্যবেক্ষক মিশন শুরু করতে হবে। তল্লাশি চৌকি ও ইসরাইলি বসতির মতো স্পর্শকাতর অঞ্চলগুলোতে তারা উপস্থিত থাকবেন। ফিলিস্তিনিদের সুরক্ষা বিষয়ে তারা প্রতিবেদন দেবেন।
৪. জাতিসংঘের ম্যান্ডেটের অধীন একটি সশস্ত্র সামরিক কিংবা পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা। তারা ফিলিস্তিনি বেসামরিক লোকজনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন।
ব্যবসা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আর নয় ক্লিক
উল্লেখ্য, বিভিন্ন সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ৩০ মার্চ ভূমি দিবসের বিক্ষোভ কর্মসূচি শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত ১৭১ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনিকে হত্যা করেছে ইসরায়েলি বাহিনী। ফিলিস্তিনিদের শান্তিপূর্ণ এ কর্মসূচিতে ইসরাইলি বাহিনীর নৃশংস হামলায় আরও প্রায় ১৫ হাজার মানুষ আহত হয়েছেন।
এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি হয়েছে ১৪ মে। ফিলিস্তিনিদের ‘গ্রেট রিটার্স মার্চ’র বিক্ষোভ কমর্সূচি চলমান থাকা অবস্থায় এদিন ইসরায়েলের মার্কিন দূতাবাস তেল আবিব থেকে জেরুজালেমে সরিয়ে নেওয়া হয়। এর বিরুদ্ধে ফিলিস্তিনিরা তাদের বিক্ষোভ জোরালো করলে ইসরায়েলি বাহিনী তাদের উপর হামলা চালায়।
ফের দুই ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করল ইসরাইল
আরএম/