মঈনুদ্দীন তাওহিদ: আমেরিকান গোয়েন্দা সংস্থা ‘সিআইএ’ মিশরের মুসলিম ব্রাদারহুডের ব্যাপারে কিছু গোপন নথি প্রকাশ করেছে, যাতে তরুণদের নিয়োগ ও আর্থিক নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের বিভিন্ন দিক তুলে ধরা হয়েছে।
গোপন এই নথিতে বলা হয়, বর্তমানে ইখওয়ান দ্বারা পরিচালিত ২৪ টি দল সক্রিয় রয়েছে। আর তাদের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সংখ্যা ৩০ হাজারেরও বেশি। এই গ্রুপগুলো সারা বিশ্বে বিভিন্ন নাম ধারণ করে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
এদের বেশির ভাগই ব্রাদারহুডের অধীনে নানা কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত।
গোপন নথিতে আরো বলা হয়েছে, মুসলিম ব্রাদারহুডের আধ্যাত্মিক নেতা হলেন, আল্লামা ইউসুফ কারযাভি। তিনিই পার্টির বাস্তব পরিকল্পক এবং নীতিনির্ধারক। মুসলিম ব্রাদারহুডের সকল কর্মসূচির নিয়ন্তা তিনিই। তার মাধ্যমেই এসব কর্মসূচিতে নতুনত্ব সৃষ্টি হয়।
কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থান করা সত্ত্বেও তার এহেন কার্যক্রম মারাত্মক ভয়াবহ।
এ ডকুমেন্টে আরো বলা হয়, ইরানে ইসলামি বিপ্লবের পর মিসরে হুসনি মোবারকের ক্ষমতাকালে তারা নিজেদের অধিক অনুসরণযযোগ্য হিসেবে ঘোষণা দেয়। আর যুবকদের মাঝে বিদ্যমান অস্থিরতাকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলে ব্যবহার করে।
ব্যবসা নিয়ে দুঃশ্চিন্তা আর নয় ক্লিক
গোপন এ নথিতে ইখওয়ানের আর্থিক যোগানের বিষয়েও রিপোর্ট করা হয়েছে। বলা হয়েছে, এ দলটির আর্থিক যোগানের খাতিরে আমদানি রপতানির জন্য অনেক কারখানা প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এসবের সাথে জড়িত প্রত্যেক্যেই লাভের ১০ ভাগ দলের তহবিলে প্রদান করতে হয়।
মার্কিন কর্তৃপক্ষ ইখওয়ানের এমন কর্মকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলে, এটা বড় উদ্বেগের বিষয় যে ইখওয়ানের কর্মকাণ্ডে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, সাধারণ পেশাজীবীদের জড়ানো হচ্ছে এবং মিশরের নির্মাণ সংস্থা, ব্যাংক হোটেলসহ অন্যান্য স্থাপনাকে এ কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে।
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আমিরাতের ৫৪৭ বন্দি মুক্তি
-আরআর