আওয়ার ইসলাম: রিজভী বলেন, ‘শিশু-কিশোরদের আন্দোলনে সরকারের বর্বরোতার নিন্দা জানাচ্ছি। তাদের মিথ্যা মামলা ও রিমান্ড প্রত্যাহার করে মুক্তির দাবি করছি। একই সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীসহ দেশের সকল রাজবন্দির মুক্তি দাবি করছি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি দাবি জানান।
তিনি বলেন, ‘নিরাপদ সড়কের দাবিতে শিশু-কিশোরদের চলমান আন্দোলনে সামাজিক গণমাধ্যমে উসকানি ও সহিংসতার মিথ্যা অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন থানায় ৫১টি মামলায় শতাধিক ছাত্রছাত্রীকে আটক করা হয়েছে। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীকে ওই মামলাগুলোতে আসামি করা হয়েছে। এই কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্দোলন বিশ্বের ইতিহাসে নজিরবিহীন। তারা মানুষের বিবেককে নাড়া দিয়েছে। সমাজের অগ্রগণ্য মানুষরাও বিস্মিত হয়েছে তারা যা পারেনি শিশু-কিশোররা চোখে আঙুল দিয়ে সেটা করে দেখিয়েছে।’
রিজভী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন- শিশু-কিশোররা পথ দেখিয়েছে। কিন্তু এখন আন্দোলনরত শিশু-কিশোররা যে পথ দেখছে তাতে তারা প্রতিদিনই শিহরিত হয়ে উঠছে। তাদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, রিমান্ডের হাড় হিম করা অকথ্য নির্যাতন সহ্য করতে হচ্ছে, এরপর পাঠানো হচ্ছে জেলখানায়।
তিনি বলেন, আপনি মুখে যাই বলুন, সরকার প্রধান শিশু-কিশোরদের সঙ্গে নিষ্ঠুর প্রতিশোধের খেলায় মেতে উঠেছেন। অভিভাবকরা বাচ্চাদের জীবন নিয়ে শঙ্কিত, ভীত, শিহরিত। এখন শুধু ছাত্ররাই নয়, ছাত্রীরাও রেহাই পাচ্ছে না আটক ও জুলুমের করালগ্রাস থেকে। গোয়েন্দা পুলিশ একের পর এক ছাত্রীকে আটক করে লোমহর্ষক ঘটনার জন্ম দিচ্ছে।’
রিজভী বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালগুলো দলীয় চেতনায় ভরপুর বলে বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা সুচিকিৎসা পাওয়ার অধিকার থেকেও বঞ্চিত হচ্ছে। আমি অবিলম্বে শিমুল বিশ্বাসকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার সুচিকিৎসার জোর দাবি জানাচ্ছি। ’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবীর খোকন, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহ দফতর সম্পাদক মো. মুনির হোসেন, সহ প্রচার সম্পাদক আসাদুল করিম শাহীন, নির্বাহী সদস্য শামসুজ্জামান সুরুজ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আটক শিক্ষার্থীদের মুক্তির দাবিতে হিউম্যান রাইটস’র বিবৃতি
আরএম/