বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


'বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে নাক গলাবেন না'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উপর হামলার অভিযোগ নিয়ে জাতিসংঘ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের বিবৃতিকে ‘অনভিপ্রেত ও অযাচিত’ বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। একইসঙ্গে এই বিবৃতি প্রত্যাহার করারও অনুরোধ করেন তিনি।

পাশাপাশি তিনি বলেছেন, আন্দোলনে কর্তব্যরত সাংবাদিকদের ওপর হামলাকারীদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে আজই (মঙ্গলবার) চিঠি দেয়া হচ্ছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

হাসানুল হক ইনু বলেন, ধানমণ্ডিতে যে সংঘর্ষ হয়েছে, এটা বাস্তব ঘটনা। কিন্তু আন্দোলন ও শিশুদের ওপর কোনো আক্রমণ হয়নি। ঢাকা শহরের দুই-তিন জায়গায় বিক্ষিপ্ত ও বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ সেগুলো নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে মার্কিন দূতাবাস যে বক্তব্য দিয়েছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।

মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতিতে শিশুদের আন্দোলনকে বর্বরোচিত হামলার মধ্য দিয়ে দমন করার যে কথা বলা হয়েছে, তেমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মার্কিন দূতাবাস ঢাকা শহরের বাস্তবচিত্রের বাস্তব প্রতিফলন করেনি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শিষ্টাচারবহির্ভূত নাক গলানোর অপপ্রয়াস করেছে।

মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই বিবৃতির মধ্য দিয়ে মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে শিষ্টাচার বহির্ভূত নাক গলানোর অপপ্রয়াস করেছে। আমরা এটার নিন্দা করি এবং এই বিবৃতি প্রত্যাখ্যান করছি এবং প্রত্যাহার করারও অনুরোধ করছি।

জাতিসংঘের বিবৃতি নিয়ে মন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের বাংলাদেশ প্রধানের বিবৃতি ও মার্কিন দূতাবাসের বিবৃতি নিরাপদ সড়ক আন্দোলনের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সম্পর্কে সঠিক বিবৃতি নয়। আমি সরকারের পক্ষ থেকে তথ্যমন্ত্রী হিসেবে এই বিবৃতিকে অনভিপ্রেত মনে করি, অযাচিত মনে করি।

আশা করি তারা এই ধরনের বিবৃতি দেবেন না এবং বাংলাদেশের প্রকৃত ঘটনার ভিন্ন চিত্রায়ন করবেন না। সরকারের অবস্থানের বিষয়ে লিখিতভাবে তাদের দফতরে পাঠানো হবে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সব প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে। আন্দোলনের মধ্যে উস্কানিদাতাদের চিহ্নিত করা হয়েছে। যারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের কাঁধে বন্দুক রেখে রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেষ্টা করছিল তাদের আমরা চিহ্নিত করছি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব রটনাকারীদের ও মিথ্যাচারকারীদের আমরা চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি। তাদের বিরুদ্ধে আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব।

গত ২৯ জুলাই বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহতের পর থেকে নিরাপদ সড়কের দাবি সামনে নিয়ে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা।

আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তায় জাতিসংঘের উদ্বেগ প্রকাশ

আরএম/


সম্পর্কিত খবর


সর্বশেষ সংবাদ