আওয়ার ইসলাম: নিরাপদ সড়কের দাবিতে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানিয়েছে ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। সংস্থাটির ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে স্বনামধন্য আলোকচিত্রী শহিদুল আলমের আটকের ঘটনাকে ‘সরকারের দমননীতি জোরালো হওয়ার ভয়াবহ নজির’ আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তার নিঃশর্ত মুক্তিও দাবি করা হয়েছে।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক উপ-পরিচালক ওমর ওয়ারাইচ তার বিবৃতিতে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অবিলম্বে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও তাদের পক্ষে কথা বলা মানুষদের ওপর চালানো দমনপীড়ন বন্ধ করতে হবে। শিক্ষার্থীদের নিরাপদে শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার রয়েছে। এই অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ থাকতে হবে, এর সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
বিবৃতিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশি বলপ্রয়োগের ঘটনায় অবিলম্বে কার্যকর তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে। বিক্ষোভ কমূসূচিতে শিক্ষার্থীদের ওপর সরকার সমর্থকদের হামলা আর পুলিশি নীরবতারও তদন্ত দাবি করেছে অ্যামনেস্টি। বিবৃতিতে শহিদুল আলমের আটক প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, শান্তিপূর্ণ পথে নিজস্ব মতামত ব্যক্ত করার কারণে কাউকে আটকের কোনও ন্যায্যতা নেই। অবিলম্বে তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে।
অ্যামনেস্টির বিবৃতিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরের শেষ দিকেই বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই আন্তর্জাতিক দায়বদ্ধতা থেকেই সরকারের এই সব সংকট সমাধান করতে হবে। বিশেষ করে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও নিরাপত্তার অধিকার নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
গত ২৯ জুলাই (রোববার) রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই কলেজ শিক্ষার্থী নিহত ও আরো ১৩ জন আহত হয়। এ ঘটনার পর থেকে রাজধানীর বিভিন্ন সড়কে অবস্থান করে বেপরোয়া বাস চালকের ফাঁসি, ফিটনেসবিহীন গাড়ি এবং লাইসেন্স ছাড়া চালকদের গাড়ি চালনা বন্ধসহ ৯ দফা দাবি আদায়ে আন্দোলনে নামে শিক্ষার্থীরা।
শিক্ষার্থীদের টানা এই আন্দোলন ক্রমান্বয়ে সহিংসতার দিকে মোড় নিয়েছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে।
অাফতাবনগরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে শ্রমিকলীগের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
আরএম/