আওয়ার ইসলাম: মুক্তিযুদ্ধের জীবন্ত এনসাইক্লোপিডিয়া খ্যাত বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া (অব.) ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে সিএমেইচ-এ চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন তিনি।
জানা যায়, গত ২৫ জুলাই থেকে সিএমেইচ-এ চিকিৎসাধীন ছিলেন। ২৩ জুলাই থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। এরপর তাকে লাইফ সাপোর্ট দেয়া হয়।
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার জানাজা বাদ মাগরিব ডিওএইচএস বারিধারা মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বনানীর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার (অব.) জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ জুলাই। ঝিনাইদহ ক্যাডেট টি কলেজে যখন তিনি এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তখনই ডাক এল মুক্তি সংগ্রামে। যোগ দেন মুক্তিযুদ্ধের ২ নম্বর সেক্টরে এক তরুণ গণযোদ্ধা হিসেবে।
মুক্তিযুদ্ধের দুই কিংবদন্তি মেজর খালেদ মোশাররফ ও ক্যাপ্টেন হায়দারের সহযোদ্ধা হিসেবে পাশে পাশে ছিলেন মুক্তিযুদ্ধের হিরন্ময় দিনগুলিতে। একাত্তরের বীরযোদ্ধাদের পাশাপাশি নিজেকে শাণিত করেছেন স্বদেশপ্রেমের এক প্রগাঢ় চেতনায়।
বাহাত্তরে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে নির্বাচিত হলেও বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠায় বিলম্বের কারণে চুয়াত্তরের ৯ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে যোগ দেন এবং পচাত্তরের ১১ জানুয়ারি সেনাবাহিনীতে জিড় ৪র্থ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট-এ কমিশনপ্রাপ্ত হন।
১৯৮৩ সালে বেইজিং ল্যাংগুয়েজ এন্ড কালচার ইউনিভার্সিটি থেকে চীনা ভাষায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। তারপর ১২ জুলাই ১৯৯৬ সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর নেন।
একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন-এ যেমন উচ্চ শাঘার, একমাত্র পুত্র শিশু সাবিতের মৃত্যু তেমনি তার হৃদয়ের গভীরতম ক্ষত । তবুও এ ক্ষত নিয়ে, এই বিক্ষত সময়ে তিনি সবুজআদৃত এক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেন গেছেন আমৃত্যু।
ব্যবসার হিসাব এখন খুব সহজে- ক্লিক করুন বিসফটি
-আরআর
পড়ুন আওয়ার ইসলামকে দেয়া মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়ার (অব.) সাক্ষাৎকার: মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস এখনো লেখাই হয়নি: মেজর কামরুল হাসান ভূঁইয়া