বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪ ।। ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ ।। ২৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬


'আসামে আরেকটি গণহত্যার করুণ পরিণতি আমরা দেখতে চাই না'

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম:  ~বাংলাদেশের প্রতিবেশী ভারতীয় রাজ্য আসামের ক্ষমতাসীন বিজেপী সরকার গত ৩০ জুলাই সংশোধীত যে নাগরিকত্ব তালিকা প্রকাশ করেছে, তাতে প্রায় ৪০ লাখ ভারতীয় বাসিন্দা বাদ পড়েছে।যাদেরকে সম্পূর্ণ অন্যায়ভাবে বাংলাদেশী বলে নাগরিক তালিকার বাইরে রাখা হয়েছে।"

৪ আগস্ট শনিবার সংবাদপত্রে প্রেরিত এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছেন জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মহাসচিব শায়খুল হাদীস আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী।

তিনি বলেন, এই ৪০ লাখ মানুষের বেশির ভাগই মুসলমান। গোটা ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক ও চরম অমানবিকই শুধু নয়, বরং বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের উপরও মারাত্মক হুমকি তৈরি করেছে। বাংলাদেশ সরকারের কর্তব্য, বিজেপীর মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী এমন অপতৎপরতার বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ করা।

আল্লামা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, নাগরিকপঞ্জির নামে পূর্ব পুরুষ থেকে স্থায়ীভাবে ভারতে বসবাসকারী ৪০ লক্ষ মানুষকে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে নাগরিকত্বের তালিকা থেকে বাদ দিয়ে নিজ দেশে পরবাসী করা এবং অভিবাসন ক্যাম্প তৈরি করে তাদেরকে সেখানে আবদ্ধ রাখার উদ্যোগ নিশ্চিত করছে, এটি আদতে বিজেপির মুসলিম গণহত্যার প্রস্তুতি।

তেলেঙ্গানায় বিজেপির  এমএলএ রাজা সিং লোধ প্রকাশ্যেই বলেছেন, তথাকথিত ‘বাংলাদেশি সেটলার’রা যদি স্বেচ্ছায় ফিরে না যায়, তাহলে তাদেরকে গুলি করে হত্যা করা হবে।

তিনি বলেন, আসামে কোন অবৈধ বাংলাদেশী নেই। যে ৪০ লাখ মানুষের ভারতীয় নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হয়েছে, তারা পূর্ব পুরুষ থেকেই ভারতে বসবাস করে আসছে। এরা অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক। এদেরকে বাংলাদেশী বলে বহিষ্কারের উদ্যোগ মুসলিম ও বাংলাদেশ বিরোধী গভীর ষড়যন্ত্র।

তিনি বলেন, আসামের ঘটনাপ্রবাহে জোর সন্দেহ করা যাচ্ছে, ভারতে রোহিঙ্গাদের মতোই ভয়াবহ রক্তপাতের পরিস্থিতি আসন্ন। পশ্চিম বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জিও রক্তগঙ্গা ও গৃহযুদ্ধ ঘটতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন।

আল্লামা কাসেমী বলেন, ভারতীয় হিন্দুত্ববাদিদের চরম উস্কানির মুখেও বাংলাদেশের জনগণ ধৈর্য ও সহনশীলতার পরিচয় দিয়ে যাচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের সরকারের নির্লিপ্ততা আমাদের বিস্মিত করেছে।

আন্তর্জাতিক আইন ও মানবাধিকারের আন্তর্জাতিক নীতিমালা ভঙ্গ করে ভারতীয় নাগরিকদের ‘বাংলাদেশী’ আখ্যা দিয়ে পুশব্যাক করবার প্রস্তুতি এবং স্বেচ্ছায় না গেলে গুলি করার হুমকির বিরুদ্ধে বাংলাদেশকে অবশ্যই অবিলম্বে জোর প্রতিবাদ জানাতে হবে। রোহিঙ্গাদের মতো আরেকটি গণহত্যার করুণ পরিণতি আমরা দেখতে চাই না।

আরও পড়ুন: ধৈর্যের বাঁধ ভেঙে গেলে কাউকে ছাড় নয়: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

আরএম/


সম্পর্কিত খবর