আওয়ার ইসলাম: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় ছোট শিশুদের ঠাণ্ডা-কাশি লেগেই থাকে। ঋতু পরিবর্তন কিন্তু সামান্য অনিয়ম হলেই এক বছরের কম বয়সী শিশুদের ঠাণ্ডা লেগে যায়। শিশুদের নিয়ে তাই প্রায়ই ছুটতে হয় চিকিৎসকের কাছে।
কেউ কেউ আবার ঘরোয়া উপায়ে এ সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেন। ঘরোয়া পদ্ধতিতে ঠাণ্ডা সারানোর সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হল মধু। কিন্তু ছোট শিশুদের মধু খাওয়ানো কতটা সঠিক তা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলেছেন বিশেষজ্ঞরা।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঐতিহ্যগতভাবে ঠাণ্ডা-কাশি সারানোর জন্য মধু দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। শিশুদের ক্ষেত্রে তা কোনো ধরনের অ্যালার্জির তৈরি করে কিনা তা আগে জানা দরকার।
তারা আরও বলছেন, ছয় মাসের নিচে কোনো শিশুকে মধু খাওয়ানো ঠিক নয়। ছয় মাসের পর যখন শিশুদের অন্যান্য খাবার দেওয়া হয় তখন সামান্য পরিমাণে মধু তাদর দেওয়া যেতে পারে।
আবার কেউ কেউ বলছেন, ঠাণ্ডা সারালেও দুই বছরের নিচে কোনো শিশুকে মধু দেওয়া ঠিক নয়। মধুতে থাকা ক্লাস্ট্রিডিয়াম বোটুলিনাম উপাদান কখনও কখনও শিশুদের মধ্যে খাদ্যে বিষক্রিয়া তৈরি করতে পারে।
কারণ এই ধরনের উপাদানের সঙ্গে লড়াই করার মতো শক্তি ছোট শিশুদের শরীরে তৈরি হয় না।
একটু বড় শিশু কিংবা বয়স্কদের মধুতে থাকা ব্যাকটেরিয়া কোনো ক্ষতি করতে পারে না কারণ তাদের হজম পদ্ধতি ছোট শিশুদের চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
একারণে ছয় মাস থেকে দুই বছরের নিচে শিশুদের মধু খাওয়ানো ঠিক নয়।তাহলে তাদের শরীরে ব্যাকটেরিয়া আক্রমন করতে পারে।কিন্তু এর চেয়ে বেশি বয়সীদের ঠান্ডা-কাশি সারাতে মধু দিতে পারেন।
যেসব খাবার শিশুদের খাওয়াবেন না
-আরআর