আবদুল্লাহ তামিম: বিয়ে রাসুল সা. এর একটি সুন্নত। রাসুল সা. বলেছেন, যে আমার সুন্নতকে অবজ্ঞা করলো সে আমাকে অবজ্ঞা করলো। যারা বিয়ে করলো আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য আল্লাহ তায়ালা তাদের জীবন আলোকিত করে দিবেন।
নতুন বিবাহিত মুসলিম দম্পতিরা তাদের ব্যক্তিগত জীবন সম্পর্কে ইসলাম যা বলে তা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ায় অনেক সময়। কারণ তারা এ বিষয়ে কথা বলতে লজ্জা পায়।
অনেক সময় তারা বিভ্রান্তও হয়। তাই আমরা বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে চাই।
১. বিয়ে প্রথম রাত
প্রথম রাতেই যে শারীরিক সম্পর্ক করতে হবে ইসলামে এর কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। আগে একে অপরকে বুঝা উচিত। যদি পরিস্থিতি এমন হয় যে শারীরিক সম্পর্ক উপভোগের মাধ্যমে হবে, তাহলে তো ঠিক আছে।
কিন্তু জোড়পূর্বক কোনোভাবেই উচিত নয়। এতে শুরুতেই সম্পর্কের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাব শুরু হয়। তাই এ ব্যপারে সতর্ক থাকা উচিত।
২. শারীরিক সম্পর্ক
নববধূর জন্য আল্লাহ শারীরিক সম্পর্ক হালাল করেছেন কিন্তু এটি শুধুই শারীরিক সম্পর্ক নয় আল্লাহর বিধান ও ইবাদতও। সেটি মনে রাখতে হবে। বিয়েটা শুধু যেনো যৌন চাহিদার জন্য না হয়। আল্লাহর বিধান মানার জন্যও যেনো হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি দিতে হবে।
ইসলাম আমাদের যৌন আকাঙ্ক্ষা পরণের জন্য বিধান দিয়েছেন। রাসুল সা. বাসর রাত বা শারীরিক সম্পর্কের জন্য দোয়াও শিখিয়ে দিয়েছেন।
ইসলাম বলে মানুষ যেনো পশুদের মত যৌন চাহিদা পূরণ না করে। তাই অনেকগুলো নির্দেশনা আছে এ ক্ষেত্রে। সঙ্গিনীর চাহিদা, ভালো লাগা খারাপ লাগার প্রতি গুরুত্ব দেয়া জরুরি। তার কষ্ট হয় এমন কিছু করা উচিত নয়।
আল্লাহ তায়ালা পায়ু পথে সম্পর্ক করাও হারাম করেছেন। তাই ইসলামের বিধান মানাটা অপরিহার্য।
৩. ভার্জিনিটি
অনেকের ধারণা থাকে শারীরিক প্রথম সম্পর্কের ক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে তার ভার্জিনিটি আগেই ছিন্ন হয়ে গেছে। ইসলাম এমন ধারণাকে সমর্থন করে না। কেনা অনেক সময় লাফালাফি বা এ জাতীয় খেলাধুলার কারণেও ছিন্ন হতে পারে। সুতরাং এ বিষয় নিয়ে বাড়বাড়ির কোনো সুযোগ নেই ইসলামে।
৪. সঙ্গিনী
আল্লাহ তায়ালা মানুষের মর্যাদার ক্ষেত্রে নারীদের মর্যাদা দিয়েছেন অনেক বেশি। তাই স্বামীরাও তাদের মর্যাদা দেবে। তাদের পছন্দ অপছন্দের দিকে লক্ষ্য রাখবে। শারীরিক সুখ দেয়ার পুরোপুরি চেষ্টা করবে।
৫. সঙ্গিনীর বিষয়ে আলোচনা
শারীরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এ বিষয়গুলো নিয়ে কারো কাছে বলা ইসলাম নিষেধ করেছেন। এগুলোর বিষয়ে আলোচনা হারাম।
সঙ্গিনীর শারীরিক কোনো বিষয়ে অন্যের কাছে বলা ইসলাম সমর্থন করে না। হ্যাঁ শারীরিক সম্পর্কে যদি কোনো সমস্যা থাকে তাহলে অবহেলা না করে ডাক্তার দেখানো উচিত।
সঙ্গিনীর হক আদায়ে যদি কমতি হয় আর আপনি লজ্জায় ডাক্তার না দেখান তাহলে মারাত্মক গোনাহগার হবেন।
তাই এ বিষয়গুলো নিয়ে চিন্তা করা ও গুরুত্ব দেয়া খুবই প্রয়োজন। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে বুঝার তাওফিক দান করুন।
সূত্র: দ্যা ইসলামিক ইনফরমেশন