আওয়ার ইসলাম : মিশরের একটি সামরিক আদালত সেদেশের নিষিদ্ধ রাজনৈতিক সংগঠন মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৮ এবং অন্য একটি দলের ১৩ জন সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। পৃথক দুটি ঘটনার জের ধরে আদালত এ রায় দেন। দেশটির সরকারি বার্তা সংস্থা মেনা নিউজের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
রয়টার্সের খবরে বলা হয়, ২০১৫ সালে এক পুলিশ সদস্য ও এক নিরাপত্তা কর্মী হত্যা এবং ২০১৬ সালে জেল ভেঙে পালানোর অভিযোগে এ সাজা দেওয়া হয়েছে।
আল-জাগাজিগ শহরের স্থানীয় অপরাধ আদালত পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা রক্ষীকে হত্যার ঘটনায় ১৮ জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ওই পুলিশ সদস্য ও নিরাপত্তা কর্মী গুলিতে আহতাবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়। পরে তদন্তকারীরা জানতে পারেন, ওই ১৮ জন তাদের হত্যার সঙ্গে জড়িত।
প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালে দেশটির প্রথম গণতান্ত্রিক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুৎ করার পর মুসলিম ব্রাদারহুডকে নিষিদ্ধ করেন তৎকালীন সেনাপ্রধান ও বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি।
অন্যদিকে, ইসমাইলিয়া শহরের স্থানীয় অপরাধ আদালত ১৩ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। ২০১৬ সালের অক্টোবর মাসে জেল ভেঙে পালানোর অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। তারা নিষিদ্ধঘোষিত অপর একটি দলের সদস্য বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, মিশরের বর্তমান প্রেসিডেন্ট আব্দেল ফাত্তাহ আল-সিসি ২০১৩ সালে সামরিক অভ্যুত্থান ঘটিয়ে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ও মুসলিম ব্রাদারহুড নেতা মুহাম্মাদ মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত ও বন্দি করেন।
ওই ক্ষমতাচ্যুতির জের ধরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে জনতার সংঘর্ষে হাজার হাজার মানুষ নিহত হয়। এসব সংঘর্ষের জন্য ব্রাদারহুড সংগঠনকে দায়ী করে দলটির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যাপক দমন অভিযান চালানো হয়। ইতোমধ্যে এ দলের বেশ কিছু লোকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে বলে দাবি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলোর।
আরও পড়ুন : বিপুল সংখ্যক নারী কিভাবে মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতৃত্বে এলো?