হুমায়ুন কবির শাবিব
ইসলামি সংস্কৃতির কিংবদন্তী, বিপ্লবী মহাপুরুষ শহিদ আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ .। ২০১০ সালের এই দিনে এই মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় শাহাদাত বরণ করেন ইসলামী সংস্কৃতির কিংবদন্তী মাওলানা আইনুদ্দিন আল আজাদ।
ফতোয়া অান্দোলনের সময় পল্টন ময়দানে কি হবে গান গেয়ে তৌহিদী জনতার হৃদয়ে একটা শক্ত অবস্থান তৈরী করেছিলেন।
সেই দিন ঐ জনসমুদ্রে যে জাগরণ সৃষ্টি হয়েছিলো, তা নজিরবিহীন একটি ইতিহাস। মূলত, তখন থেকেই এই নামটি মানুষের মুখে মুখে। আমি মনে করি, এ গানের মাধ্যমে তিনি মানুষের বিবেকের দুয়ারে যে প্রশ্ন রেখেছেন.... গানের ইতিহাসে এত সহজভাবে এমন প্রশ্ন আর কেউ করতে পারেনি।
একটি কবিতা বা গানের কি পরিমাণ শক্তি লুকিয়ে থাকে তা সহজে অনুমেয় এই গানে! এই গানে শব্দের গাঁথুনি আমাকে মুগ্ধ করে সব সময়।
এই কথাগুলো শুনলেই একজন শ্রোতা অনায়াসে এটাই ভাবে আহা!!! আমিও তো এই কথা গুলোই বলতে চাই! মানুষের এই মনের কথাগুলো যখন সুরের খাঁচায় বন্দি করতেন তখন বোবা প্রতিবাদী মানুষের কাছে তিনি হয়ে উঠতেন বিপ্লবী, বিদ্রোহী, সংগ্রামি আইনুদ্দীন আল আজাদ।
জনপ্রিয়তার কারণ আরো অনেক.... তবে তার অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ও শেষ এ্যালবামের গানের কথা জীবনের সাথে হুবহু মিলে যাওয়াটা তার জনপ্রিয়তার মূল কারণ বলে আমি মনে করি।
যে গানে হন্যে হয়ে তার ভক্তকূল খুঁজেফেরে অন্য আঈনুদ্দীন কে! এই এ্যালবামের একটি গান তিনি লিখেছিলেন সাগরের বুকে সেন্টমারটিন থেকে ট্রলার যোগে ফেরার পথে। আমি এক প্রান্তে বসে বসে তার সে আকুতি মাখা গান শুনেছিলাম... গান গেয়ে গেয়ে কুড়াতে চাইনি যস খ্যাতি, জানাতে চাইছি কৃতজ্ঞতা তোমার প্রতি।
এই কথা গুলো আল্লাহর নিরঙ্কুশ কৃতজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ। মালিক তাকে এভাবেই কবুল করুন। এই কামনা সব সময়।
তার চলে যাওয়া এক আকাশ কালো মেঘের আনাগোনা। যেখানে অবিরাম বৃষ্টি ঝরছে
ঝরুক আরো বেশি বেশি যতদিন না জমিনের কালোগুলো দূর হয়।
যেভাবে কাটে আল্লামা আহমদ শফীর ঈদ ও রমজান