আবদুল্লাহ তামিম: ড্যারেন স্ট্রিটি। ৩৯ বছর বয়সী একজন ব্রিটিশ নাগরিক। প্রায় আড়াই বছর আগে তিনি দুবাইয়ে একটি কোম্পানির এইচআর ম্যানেজার হিসেবে যোগদান করেন এবং ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে দুবাইয়ের ইসলামিক ইনফরমেশন সেন্টারে গিয়ে আনুষ্ঠানিক ইসলাম গ্রহণ করেন।
সম্প্রতি ইসলাম নিয়ে নিজের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, আমি এক সন্ধ্যায় দুবাইয়ের ‘আল মামজার’ পার্কে কামানের ফায়ারিং দেখতে গিয়েছিলাম, যেটি ইফতারের সময় নির্দেশ করতে ব্যবহার করা হয়।
কামানের ফায়ারিংয়ের জন্য তাদের প্রস্তুতি দেখছিলাম আর রোজা রাখার কারণ ভাবছিলাম এবং এখান থেকেই আমার ইসলামের যাত্রা শুরু হয়।
একজন নতুন মুসলিম হিসাবে, আমাকে ইসলামে ধর্মান্তরে কারণ জিজ্ঞাসা করা হয়ে থাকে। আমার জন্য উত্তর হল- আমি সবসময় একজন উৎসুক মানুষ ছিলাম।
ছোটকাল থেকেই পৃথিবীতে আমার দেখা বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সর্বদা এসবের উত্তর খোঁজতাম। আমি একটি খ্রিস্টীয় পটভূমি থেকে এসেছি। যাইহোক, ধর্মীয় দিক থেকে আমার পরিবার অতটা ধর্মীয় ছিল না।
তাই আমি আমার নিজস্ব স্টাইলে বেড়ে ওঠেছি, জীবনের উদ্দেশ্য সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উত্তর খোঁজার চেষ্টা করেছি। স্বাভাবিকভাবে, এই সময়ে আমি বিজ্ঞান, আইন এবং মানুষের জ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ের প্রতি ঝুঁকে পড়ি।
আমি সব সময় অনুভব করতাম- আমি যা দেখছি বা কল্পনা করছি, তার চেয়েও বেশি কিছু রয়েছে এবং বিজ্ঞান ও মানব জ্ঞান যা অফার করতে পারে তার চেয়েও অন্য কিছুতে আমার একটি সংযোগ ছিল।
মাঝে মধ্যেই আমি বিভিন্ন ধর্মের মানুষের কথা শুনার সুযোগ পেয়েছি, জীবনকে বাস্তবসম্মত করার উপায় সম্পর্কে তাদের নিজস্ব ব্যাখ্যা পেয়েছি। কিন্তু তাদের মধ্যে মৌলিক অংশগুলি সবসময়ই ছিল- যা আমি সংযোগ স্থাপন করতে পারিনি।
অবশেষে, প্রথমে আমার বন্ধুদের সঙ্গে আলাপচারিতার মাধ্যমে এবং পরে দুবাইয়ের ইসলামিক সেন্টারের মাধ্যমে আমি ইসলাম সম্পর্কে আগ্রহী ওঠি এবং ইসলামের সঙ্গে সংযুক্ত হই।
এই দৃষ্টিভঙ্গির পিছনে আমাকে যেটি আকর্ষণ করেছে, সেটি হল আল্লাহর সঙ্গে সরাসরি সংযোগ। তার উপাসনা করার জন্য কোনো ব্যক্তি বা কোনো মাধ্যমের প্রয়োজন নেই। ব্যক্তিগতভাবেই আমরা তার সংযোগ লাভ করতে সক্ষম।
নামাজ আদায়, কোরআন পাঠের মাধ্যমে তার সঙ্গে আপনার সরাসরি সংযোগ ঘটছে। আমরা আমাদের কর্মের জন্য শুধুমাত্র আল্লাহর কাছে দায়ী এবং এই সংযোগের মাধ্যমে আমরা আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা, তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারি এবং তার সহায়তা চাইতে পারি।
আল্লাহ তার জন্য আমাদেরকে রমজানের রোজা পালনের নির্দেশ দিয়েছেন এবং আমার জন্য এটি একটি আলোকিত অভিজ্ঞতা দিয়েছে। প্রথমে আমি মনে করেছিলাম, এটা পালন করা শারীরিকভাবে কঠিন হবে, কিন্তু এখন মনে হচ্ছে এটা কোনো ব্যাপারই না।
সূত্র: খালিজ টাইমস
আরো পড়ুন- রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমার সেনাবাহিনী ও সরকারের বৈঠক