শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র নড়াইলে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা মামলায় আ. লীগের ৪৮ নেতাকর্মী কারাগারে বিনা খরচে আরও কর্মী নেবে জাপান, সমঝোতা স্মারক সই

সেহরি খাওয়া অবস্থায় আযান হয়ে গেলে কী করবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম :  ফজরের আযান পর্যন্ত সেহরি খাওয়া যায় এমন একটি কথা জনসাধারণ্যে প্রচলিত আছে। মুলত অনেকটা একারণেও অনেকেই সময়ের প্রতি লক্ষ্য না রেখে আযান পর্যন্ত সেহরি খেতে থাকেন।

এমতাবস্থায় ফজরের আযান হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে খাওয়া বন্ধ করে পুরো দিন যথারীতি রোযা পালন করতে হবে। তবে শেষ সময়ের পর ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃতভাবে অথবা ভুলক্রমে পানাহার করায় রোযা ভঙ্গ হয়েছে।

তাই এই রোযাটি রমযানের পর পুনরায় কাযা আদায় করে নিতে হবে। কিন্তু আযান শোনার পরও যদি পানাহার বন্ধ না করেন, তাহলে কাযার সঙ্গে কাফফারাও আদায় করতে হবে। যেহেতু প্রথমে ভুলবশত খাওয়া হলেও পরে ইচ্ছাকৃত খাওয়ার দ্বারা রোযা ভাঙ্গা হয়েছে।

জানা আবশ্যক যে, আযান কখনও সেহরির সময়ের মধ্যে দেওয়া হয় না। আযান ফজরের ওয়াক্ত আসারও একটু পরে দেওয়া হয়। কারণ সেহরির সময় বাকি থাকলে ফজরের ওয়াক্ত হয় না। আর ওয়াক্ত হওয়ার আগে আযান দিলে আযান আদায় হবে না।

মনে রাখতে হবে, আযান হলো ফজরের নামাযের জন্য, সেহরি খাওয়া বন্ধ করার জন্য নয়। তাই সেহরি তার আগেই বন্ধ করতে হবে। উল্লেখ্য, হাদিস শরিফে যে আযানের পরও খাওয়ার কথা আছে, তা হলো তাহাজ্জুদের আযান, ফজরের আযান নয়, যার প্রচলন এখনও মক্কা ও মদিনায় রয়েছে।-সুত্র: ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী।

আরও পড়ুন : সেহরীর সময় মানুষকে জাগাতে কুরআন পাঠ ও বারবার ইলান করার হুকুম কী?


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ