শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি সফল করার আহ্বান শায়খে চরমোনাই’র

সেহরিতে কোন কোন খাবার খাবেন?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম : সেহরী ও ইফতার রোজদারদের জন্য ইবাদতের মতো। অনেকেই মনে করেন সেহেরী ও ইফতারে অনেক বেশি বা ভারী ধরনের খাবার খাওয়া উচিত। কিন্তু সব ধরনের ভারী খাবার রোজদারের জন্য স্বাস্থ্যকর নয়। চলুন আজ জেনে নেই সেহেরিতে কী খাবেন আর কী খাবেন না-

১। ভাত, রুটি এবং আলু এই খাবারগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমান কার্বোহাইড্রেট থাকে যা হজম হতে অনেক সময় লাগে এবং কর্মশক্তিও দীর্ঘক্ষণ ধরে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে সেহেরিতে এইসব খাবার খেতে পারেন।

২। সেহরীতে এমন সময় খাওয়া হয় যখন বেশি ক্ষুধা অনুভূত হয় না। এই সময় এমন খাবার খাওয়া উচিত যাতে সারাদিনের শক্তি পাওয়া যায়। চিকিৎসকদের মতে এই সময়ে খুব সাধারণ খাওয়া উচিত। সেই সঙ্গে পেটও যাতে খুব ভরা না লাগে সেদিকে লক্ষ্য রাখা উচিত।

৩। ফাইবারযুক্ত ফল এবং শস্য জাতীয় খাবার খেতে পারেন সেহেরীতে। বার্লি, ছোলা এবং ওট এই খাবারগুলো দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকতে সাহায্য করে। এছাড়া এগুলো কোষ্টকাঠিন্যও সারায়। তবে এসব খাবার খুব বেশি খেলে বারবার পিপাসা লাগতে পারে।

৪। সেহরিতে প্রোটিণ জাতীয় খাবার খাওয়াটা জরুরি। এর মধ্যে ডিম, মুরগীর মাংস, দই,ডাল -এইসব খাবার শক্তি জোগাতে সাহায্য করে।

৫।পানিশূণ্যতা দূর করে যেসব খাবার সেগুলি সেহেরিতে যোগ করা যেতে পারে। এর মধ্যে ডাবের পানি, শসা, আনারস, টমেটো, কমলা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। এছাড়া পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা উচিত সেহেরিতে যাতে সারাদিনের পানি ঘাটতি পূরণ হয়।

এড়িয়ে চলবেন যেসব খাবার-

১। সেহেরির সময় খুব বেশি মসলাদার এবং ঝাল খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো খেলে বুক জ্বালাপোড়া হয় এবং হজমে সমস্যা করে।

২। সেহেরিতে চিনিযুক্ত খাবারও পরিহার করা উচিত। কারণ এসব খাবার দ্রুতই হজম হয়,এজন্য তাড়াতাড়ি ক্ষুধা জ্বালাপোড়া হয় এবং হজমে সমস্যা করে।

৩।খুব বেশি চা, কফি সেহেরিতে খাওয়া ঠিক নয়। এগুলো পানিশূণ্যতা তৈরি করে এবং পিপাসা বাড়ায়।

৪।সেহেরির সময় বেশি লবণাক্ত খাবার খাওয়াও ঠিক নয়। এসব খাবারও পানিশূণ্যতা বাড়ায়। সূত্র: এনডিটিভি

আরও পড়ুন : সেহরীর সময় মানুষকে জাগাতে কুরআন পাঠ ও বারবার ইলান করার হুকুম কী?


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ