মুজাহিদুল ইসলাম: বুধবার সকালে কুয়ালালামপুরে ফিলিস্তিনি বিজ্ঞানী ফাদি আল বাতশের মরদেহ হাসপাতাল থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে বিদায় জানানো হয়।
যেখান থেকে তার মরদেহ জন্মভূমি গাজায় নেয়া হবে। এ হত্যাকাণ্ডে ইসরাইলের বহুল সমালোচিত গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দিকে অভিযোগের অঙ্গুলি নির্দেশ করা হচ্ছে এবং হত্যাকাণ্ডের স্থান হিসেবে মালেশিয়ার পুলিশ এটা উদ্ঘাটনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
হাসপাতাল থেকে শহীদ বিজ্ঞানীকে নেয়া হবে ইদমান মসজিদে- যেখানে তার জানাজার নামাজ পড়া হবে।
ফাদিকে বিদায় জানাবার জন্য মালয়শিয়ায় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্টদূত আনোয়ার আগাসহ হাজার হাজার মানুষ জড়ো হয় এবং তারা আল্লাহু আকবার তাকবির দিতে থাকে তারপর মরদেহের গাড়ি পুলিশি প্রহরায় আন্তর্জাতিক এয়ারপোর্টে রওনা হয়।
প্রথমে বাতশের মরদেহ সৌদি আরবে নেয়া হবে সেখান থেকে মিসর হয়ে জন্মভূমি গাজায় যাবে।
কায়রোয় নিযুক্ত ফিলিস্তিনি রাষ্টদূত জানান, মিসর সরকার রাফাহ ক্রসিং পয়েন্ট থেকে লাশ নেয়ার অনুমতি দিয়েছে।
ফিলিস্তিনি সাংস্কৃতিক পরিষদের প্রধান মুসলিম ইমরান বলেন, যারাই বাতশের হত্যার কথা শুনেছে, তারা খুবই ব্যথা পেয়েছেন।
হুথি বিদ্রোহীদের থেকে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক রমণীর গল্প
তিনি বলেন, আমার মতে এ অপরাধ দখলদার ইসরাইলের গণহত্যা ও অপরাধের একটা সাধারণ প্রকাশ, যা শুধু ফিলিস্তিনের ভেতর সীমাবদ্ধ নয় বরং বিশ্বজুড়ে তারা তাদের অপকর্ম করে যাচ্ছে।
হত্যার পরে মালয়শিয়ার পুলিশপ্রধান মুহাম্মাদ ফাওজি হারুন বলেন, হত্যায় অভিযুক্ত দু জন সন্দেহভাজন এখনো মালয়শিয়ায় রয়েছে। কিন্তু সরকার তাদের পরিচয় এবং তারা কোথায় থেকে এসেছে তা জানায়নি।
তিনি আরো বলেন, মালয়শিয়া ধারণা করছে, হত্যাকারীরা জাল পরিচয়পত্র ব্যবহার করছে।
এদিকে ইসরাইল এ হত্যাকাণ্ডকে অভ্যন্তরীন কোন্দলের বলি হিসেবে উল্লেখ করেছে এবং মোসাদের সম্পকৃক্ততাকে নাকচ করেছে।
আলজাজিরা আরবি থেকে মুজাহিদুল ইসলামের অনুবাদ
-আরআর