তাওহীদ আদনান
দেওবন্দ থেকে
সম্প্রতি খতমে কওমি মাদরাসাগুলোতে বুখারি অনুষ্ঠান সম্পর্কে দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে একটি ফতোয়া প্রকাশ করা হয়েছে। ফতোয়ায় বারণ করা হয়েছে বর্তমান সময়ের প্রচলিত খতমে বুখারি থেকে৷
এর আগে গত ০৯ এপ্রিল খতমে বুখারি সম্পর্কে জানতে চেয়ে দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগ বরাবর একটি প্রশ্ন আসে৷ প্রশ্নে জানতে চাওয়া হয় খতমে বুখারি পালন করা জায়েজ নাকি বেদআত?
আপনি বা কোনো আত্মীয় কি ইন্টারনেট ও মাদকাসক্তিতে ভুগছে?
প্রশ্নের জবাবে গত ২১ এপ্রিল ২০১৮ ফতোয়াটি দারুল উলুম দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগ থেকে প্রকাশিত হয়েছে। ফতোয়াটি দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়।
তবে প্রশ্নের ধরণ অনুযায়ি খতমে বুখারিকে বেদআত বা নাজায়েয কিছুই আখ্যা দেয়া হয়নি৷ বরং অনুত্তমের পর্যায়ে থাকায় এর থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে এবং খতমে বুখারি সম্পর্কে দারুল উলুম দেওবন্দের অবস্থান জানানো হয়েছে।
ফতোয়ার অনুবাদ
‘বর্তমান সময়ে দেখা যায় অধিকাংশ মাদরাসায় বুখারি শরিফের শেষ হাদিসের দরস অত্যন্ত জাঁকজমকভাবে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে থাকে। তারিখ নির্ধারণ করে মানুষদের দাওয়াতও করা হয় বিশেষভাবে। মাদরাসাগুলোতে দলে দলে ছুটে আসে মানুষ। এমনটা না হওয়া চাই।'
দেখুন এবং সাবস্ক্রাইব করুন আওয়ার ইসলাম টিভি
ফতোয়াটিতে আরো বলা হয় 'দারুল উলুম দেওবন্দেও পূর্বে খতমে বুখারি উপলক্ষ্যে দিগ-দিগন্তের মানুষ ছুটে আসতো। অনেক মানুষের উপস্থিতিতে বুখারি শরিফের আখেরি দরস দেয়া হতো। পরবর্তীতে আকাবিরে দেওবন্দ এ প্রথা বন্ধ করে দেন।'
ফতোয়ার শেষাংষে দারুল উলুম দেওবন্দের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বলা হয়- ‘বর্তমানে দারুল উলুম দেওবন্দে অন্যান্য দরসের মতো সাধারণভাবেই বুখারির শেষ সবক দেয়া হয়। অন্যান্য মাদরাসার জন্যেও উচিত দেওবন্দেকে অনুকরণ করে খতমে বুখারির অনুষ্ঠানগুলো পরিহার করা।’
মুন্সিগঞ্জের এক খতমে বুখারি অনুষ্ঠানের ছবি নিয়ে সরগরম ফেসবুক