শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫ ।। ২৮ চৈত্র ১৪৩১ ।। ১৩ শাওয়াল ১৪৪৬

শিরোনাম :
নিজেকে ইমাম মাহদী দাবি করা মাদরাসা শিক্ষক কারাগারে হারামাইনে আজ জুমার নামাজে ইমামতি করবেন যাঁরা ‘মার্চ ফর গাজা’য় অংশগ্রহণকারীদের জন্য জরুরি ৫ নির্দেশনা তালিবুল ইলমের আবশ্যকীয় পাঁচটি কাজ পাকিস্তানের সব সমস্যার পেছনে ইহুদি ষড়যন্ত্র থাকে: মাওলানা ফজলুর রহমান বাড়িতে বাবার লাশ রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিল নাহিদ মানবতার জন্য আপনিও আসুন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে: শায়খ আহমাদুল্লাহ ইসরায়েলকে প্রতিহত করতে আন্তর্জাতিক উদ্যোগ দরকার: বিএনপি মাদরাসাছাত্রদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে কাজ করছে এনসিপি : নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী মুসলিম রাষ্ট্রের ওপর এখন সশস্ত্র ল’ড়াই ফরজ: মুফতি তাকি উসমানি

কী করলে সন্তান নামাজি এবং পরহেজগার হবে?

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
শেয়ার

আওয়ার ইসলাম: নামাজ, রোজা, হজ, জাকাত, পরিবার, সমাজসহ জীবনঘনিষ্ঠ ইসলামবিষয়ক প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান ‘আপনার জিজ্ঞাসা’।

জয়নুল আবেদীন আজাদের উপস্থাপনায় বেসরকারি একটি টেলিভিশনের জনপ্রিয় এ অনুষ্ঠানে দর্শকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন বিশিষ্ট আলেম প্রফেসর ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া।

তেমনি একজন দর্শক প্রশ্ন করেন, আমার সন্তানরা নামাজি, তবে তেমন বেশি না। কী করলে ওরা খুব নামাজি এবং পরহেজগার হবে?

উত্তরে তিনি বলেন, সন্তান নামাজি হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দরকার হচ্ছে দোয়া করা। মায়ের করণীয় হচ্ছে রাতের অন্ধকারে যখন সবাই ঘুমিয়ে থাকে, তখন তিনি দোয়া করবেন।

যেভাবে সলফে সালেহীন দোয়া করতেন, নবীরা যেভাবে দোয়া করতেন, ইব্রাহিম আ. তাঁর সন্তানের জন্য সবচেয়ে বড় দোয়াটি করেছেন, সেটি হলো, ‘আল্লাহ, আমাকে তোমার সালাত আদায়কারী, সালাত প্রতিষ্ঠাকারী বানিয়ে দাও, আমার সন্তানদের তোমার সালাত আদায়কারী, প্রতিষ্ঠাকারী বানিয়ে দাও।’

একজন মানুষ ওই সময় সবচেয়ে বেশি খুশি হয়, যখন সে দেখতে পায় তাঁর সন্তান নামাজ আদায়কারী হয়েছে, তাঁর সন্তান নিয়মিত নামাজে যাচ্ছে এবং আসছে। এর চেয়ে আনন্দের আর কিছুই হতে পারে না। এই জন্য মায়ের বড় দায়িত্ব হচ্ছে দোয়া করা।

দ্বিতীয়ত হচ্ছে, মাকে নামাজের সেই পরিবেশ তৈরি করে দিতে হবে। এমন পরিবেশে অবস্থান করবেন না, যে পরিবেশে মানুষ নামাজে থাকে না। অনেক সময় দেখা যায়, এমন জায়গায় আপনি বসবাস করছেন যেখানে মানুষ গান-বাজনায় লিপ্ত, পরিবেশ এমন হয়ে গেছে যে, আপনার ছেলেকে আপনি ভালো রাখতে পারছেন না।

আবার অনেক সময় দেখা যায়, আপনি মসজিদের কাছে আছেন, আপনার শ্বশুর, শাশুড়ি নামাজে যাচ্ছেন অথবা আপনি, আপনার স্বামী যাচ্ছেন নামাজে অথবা আত্মীয়স্বজনরা আহ্বান জানাচ্ছেন, সেখানে যাবেন।

মূল কথা হচ্ছে, মা সন্তানের জন্য দোয়া করবেন, নামাজ শেখাবেন এবং নামাজের জন্য অনুকূল পরিবেশ দেবেন।

নান্দনিক হাতিরঝিলে নামাজে ভোগান্তি


সম্পর্কিত খবর



সর্বশেষ সংবাদ