আশিকুর রহমান
কাতার থেকে
পরকীয়ার সূত্র ধরে স্বামীকে খুন করেছে চতুর স্ত্রী। দু'মাস অাগে থেকেই প্লানিং করে তাকে খুন করা হয়। অবাক হচ্ছি- স্ত্রী ছিলেন স্কুলের শিক্ষিকা এবং নষ্ট সম্পর্ক যার সাথে গড়ে ওঠে, তিনিও সেই স্কুলের শিক্ষক!
লাশ গুম করার ছক অাগে থেকেই নির্ধারণ করে এই পরকীয়া দম্পতি। হত্যা করার পর অালমারিতে ভরে রাখে রক্তাক্ত লাশ। অতপর স্কুলের দু'জন নিষ্পাপ ছাত্রের দ্বারা একটি নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষে বালুর নীচে পুঁতে ফেলে সেই লাশ!
সার্বিক দিক বিবেচনা করে অত্যাধিক ভাবনার বিষয় হলো- জাতি ভরসা করবে কোথায়? কার কাছে দেবে সন্তান? ছেলে-মেয়ে মানুষ হোক সঠিক শিক্ষাদীক্ষায়, দেশের সেবায় ব্রত হোক, সকল গার্ডিয়ান এটাই চান। তাঁদের স্বপ্নও থাকে সেটা।
কিন্তু শিক্ষালয়ে অমন অপশিক্ষা, অপশাসন অার অবৈধ সম্পর্কের জের ধরে- যদি ছাত্রদের প্রশ্রয় নেয়া হয়, তবে এই স্কুলশিক্ষা অামাদের প্রজন্মের জন্যে কতটুকুন বিপদজনক সেটা মুটামুটি অাঁচ করা গেছে।
নিহত ব্যক্তির দুই সন্তানের মধ্যে ছেলে ঢাকায় পড়াশোনো করছে অার মেয়ে রংপুরে। স্বামীর প্রতি ভালোবাসা নেই, অন্যের প্রতি মন কেমন করে, তা হতে পারে। এমনটা স্বাভাবিক। তবে স্বামীকে ডিভোর্স দেয়া যেতো ছেলে-মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে।
তারা যেনো এতিম না হয়, সেই দিকটা বিবেচনা করে স্বামীর কাছ থেকে সরে অাসা যেতো। ভাবা যায়! এই ছেলে-মেয়েরা অাজ মায়ের দুষ্কৃতকর্মের জন্যে সমাজে কখনো মাথা উঁচু করে চলতে পারবে না।
সেই অপকর্মের জন্যে ধরা পড়লো রাক্ষসবধূ! কী হলো! সন্তান গেলো, সংসার গেলো, স্বামী গেলো চিরদিনের জন্যে। এই কী চেয়েছিলো স্ত্রী- ঘৃণা অার অভিশাপের জীবন!
দেখি চারিদিকে কতো নিরীহ, নিঃস্ব অবলা নারী-কিশোরী ধর্ষিতা হচ্ছে। কিন্তু এদের মতো নারীরা এমন অপকর্মে শাস্তি পায় না কেন? রইলো বাকী বদমাইশ নরপশু স্কুল শিক্ষক। জাতির সর্বোচ্চ ঘৃণা এসব বেশরম-নির্লজ্জ শিক্ষক-শিক্ষিকার প্রতি।
আরও পড়ুন : মাদরাসা ইসলামি শরিয়াহভিত্তিক আদর্শ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান