রকিব মুহাম্মাদ
আওয়ার ইসলাম
আল্লাহ পাক মানুষকে দুই হাত দিয়েছেন। নানা কাজ করাসহ ডান হাত ব্যবহৃত হয় খাওয়ার জন্য। হাতে খাবার খাওয়া উত্তম। তবে আজকাল চামচে খাওয়া এক ধরনের ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে।
আর এটি নিয়ে দ্বিধা দ্বন্দ্বে ভোগেন অনেকেই। চামচে খাওয়া কোনো সমস্যা কিনা, কিংবা কোনো ক্ষতি হতে পারে কিনা এ নিয়েও চিন্তিত কেউ কেউ। আসুন জেনে নেই বিষয়টি।
রাসুল সা. এর খাওয়ার আদবের দিকে একটু লক্ষ্য করলে আমরা দেখতে পাব তিনি সবসময় ডান হাত দিয়ে খাবার খেতেন।
আল্লাহর রাসুল সা. ডান হাত দিয়ে খাবার গ্রহণের নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘আল্লাহর নাম নিয়ে ও ডান হাত দ্বারা খানা খাও এবং তোমার দিক হতে খাও।’ (বোখারি : ৫১৬৭, তিরমিজি : ১৯১৩)।
এছাড়াও, আল্লাহর রাসুল সা. হাত ও আঙুল চেটে খাওয়ার ব্যাপারে উম্মতকে শিক্ষা দিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে ইবনে আব্বাস রা. থেকে একটি হাদিস বর্ণিত হয়েছে। রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করবে, তখন হাত চাটা নাগাদ তোমরা হাত মুছবে না।’ (বোখারি : ৫২৪৫)।
আঙুল চেটে খাওয়ার ফলে বরকত লাভের অধিক সম্ভাবনা থাকে। কারণ খাবারের বরকত কোথায় রয়েছে মানুষ তা জানে না। রাসুল সা. বলেন, ‘তোমরা যখন খাবার গ্রহণ করো, তখন আঙুল চেটে খাও। কেননা বরকত কোথায় রয়েছে তা তোমরা জান না।’ (ইবনে মাজাহ : ১৯১৪)।
শুধু আল্লার রাসুল সা. হাত দিয়ে খাওয়ার নির্দেশ করেছেন - এমনটি নয়। বর্তমান আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানও হাত দিয়ে খাওয়ার ব্যাপারে বলে চলেছে।
গবেষকরা বলছেন, টেবিল ম্যানার্স ছেড়ে খেতে হবে হাতেই। একদম কব্জি ডুবিয়ে চেটেপুটে। শরীর সুস্থ রাখতে এটাই জরুরি।
খাবার সময় হাতের ব্যবহারে একাধিক পেশির ব্যায়াম হয়। ফলে শরীরে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। হাতের পাশাপাশি সারা শরীরে রক্তের সরবরাহ বাড়ে। বিভিন্ন অঙ্গে অক্সিজেন-সমৃদ্ধ রক্তও পৌছে যায়। শরীরের প্রতিটি অংশ উজ্জীবিত হয়ে ওঠে।
একাধিক গবেষণা দাবি করেছে, কাঁটা-চামচের বদলে হাত দিয়ে খাবার খেলে প্রতিটি দানার সঙ্গে মনের একটা সংযোগ তৈরি হয়। মনে স্নায়বিক সংযোগ বৃদ্ধি পায়। এতে মনোযোগ বাড়ে। হাতের একাধিক নার্ভ সচল হলে সরাসরি প্রভাব পড়ে ব্রেনের ওপর।
সুতরাং চামচ এড়িয়ে আজ থেকেই শুরু করুন হাত দিয়ে খাওয়া।
পেটে কৃমি আছে কি না বুঝবেন কীভাবে?