উবাইদুল্লাহ আসআদ
শিক্ষার্থী দারুল উলুম দেওবন্দ
আল্লাহ তায়ালা বলেন, মুমিনগণ! তোমরা আল্লাহ ও রসূলের সামনে অগ্রণী হয়ো না... আল হুজরাত -১। অর্থাৎ কথা ও কর্মে তাঁর অগ্রণী হয়ো না।
সাহাবায়ে কেরাম রা. নবী সা. এর সাথে চলার পথে আগে আগে চলতেন না, ডানেবামে হয়ে চলতেন এবং পেছনে পেছনেও না বরং গোড়ালি বরাবর হয়ে চলতেন, যা হাদিস দ্বারা প্রমাণিত।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবর্তমানে উলামা-সুলাহা তাঁর স্থলাভিষিক্ত এবং কুরআন হাদিসও বিদ্যমান সুতরাং তাদের সাথেও এমনভাবে আচারনিষ্ঠা করা উচিৎ। অতএব ছাত্র উস্তাদের, মুরীদ পীরের পেছনে পেছনে চলা সাহাবায়ে কেরাম রা. এর আদর্শপরিপন্থী।
এমনিভাবে তাদের আগে আগে চলাও বেআদবি। হাদিসে প্রত্যেকের অবস্থান অনুযায়ী সম্মানের তাগিদ করা হয়েছে। একদিন নবী সা. হজরত আবু দারদা রা.-কে আবু বকর রা.-এর আগে আগে চলতে দেখে সতর্ক করে বললেন, কী তুমি এমন ব্যক্তির আগে আগে চলছো! যে ইহকাল পরকালে তোমার থেকে মর্যাদাবান।
উলামায়ে কেরাম লিখেন, উস্তাদ ও মুর্শিদের সাথেও এমনভাবে আচারনিষ্ঠা করা উচিৎ।
কিন্তু আজকের যুগে অনেক উস্তাদ ছাত্রদের পায়ের ধূলা মনে করেন তাই তাদের থেকে ছাত্রদের পুরো জ্ঞানার্জন হয় না! চলার পথে কাধে কাঁধ মিলিয়ে চললে ছাত্রের ভয় দূর হত, খোলামনে জিজ্ঞাসা করতে পারত ইসতেফাদা বেশি করতে সক্ষম হতো।
আলহামদুলিল্লাহ! দেওবন্দে আমরা আসাতিজাদের কাধেঁ কাঁধ মিলিয়ে চলি, ভয় নেই কারণ তাঁরা সবাই তো মাওলানা! আর আমাদের বাংলাদেশে এমন চিত্র দেখা যায় না। ছাত্র বরাবর চললে বলা হয় বেয়াদব। আল্লাহ তায়ালা আমাদের সমঝ দান করুন।
[সূত্রঃ কুরআনুল করীম, সহিহুল বুখারী, তাফসীরে হেদায়াতুল কুরআন ৭/৪৯৫, তুহফাতু্ল কারী ও দারসে পালনপুরী হাফি.]